শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

একুশের চেতনা ও ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব – মাওলানা:শামীম আহমেদ 

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ

একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের প্রেরণ। আমরা বাঙালি। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আজ আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি যে, আমরাই একমাত্র জাতি, যারা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজপথে রক্ত দিয়েছি। বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষার মধ্যে বাংলার স্থান চতুর্থ। কারো কারো মতে সপ্তম। ১২০৩ সালে তুর্কিবীর ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি, রোজ- বৃহস্পতিবার মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য অনেকেই শহীদ হয়েছিল। সেই সব ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে অমর রাখতে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

মাতৃভাষা আল্লাহ তা’য়ালার অসংখ্য-অগণিত নিয়ামতরাজির মধ্যে অন্যতম। মানুষ যে ভাষায় কথা বলে সেটাই তার মাতৃভাষা। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর ভাব প্রকাশের জন্যে রয়েছে স্বাতন্ত্র ভাষা। এ যেন সৃষ্টি জীবের প্রতি মহান আল্লাহ তা’য়ালার এক অসীম করুণা! মহান নেয়ামত! পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘করুণাময় আল্লাহ! শিক্ষা দিয়েছেন আল কুরআন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। আর তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন (সূরা আর- রাহমান :১-৪)। মানুষের মুক্তি ও হেদায়াতের লক্ষ্যে আল্লাহ তা’য়াল যুগে যুগে সকল নবী- রাসূলকে স্বজাতির ভাষা ভাষী করে পাঠিয়েছেন। তারা তাদের জাতিকে মাতৃভাষার মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা) বলেন, আল্লাহ তা’য়ালা কোনো নবী- রাসূলকে তার মাতৃভাষা ছাড়া পাঠাননি (মুসনাদে আহমদ হাদিস নং:২০৪৪)। আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়তী (র) তাঁর ‘ইতকান ফি উলুমিল কুরআন’ গ্রন্থে বলেন- ‘আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নবীকে যেমন তাদের স্বজাতির ভাষা ভাষী করে প্রেরণ করেছেন। তেমনি ভাবে সংশ্লিষ্ট জাতির মাতৃভাষায় কিতাবও প্রদান করেছেন’।

আল্লাহ মানুষকে বাকশক্তি দিয়েছেন বলেই এত সব আবিষ্কার স্বার্থক হচ্ছে। বাকশক্তির বদৌলতে মানুষ গান গেয়ে আমোদিত হয়। কবিতা আবৃত্তি করে নিজে তৃপ্ত হয়। বক্তব্য দিয়ে শ্রোতাকে মুগ্ধ ও বিনোদিত করে। তাই ভাষার এ নেয়ামতের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,

পরম করুণাময়, তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা।’ (সূরা আর-রহমান, আয়াত : ১-৪)
নিপুণ শিল্পকুশলতায় আল্লাহ যেমন অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বসুন্ধরা সৃষ্টি করেছেন, তেমনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনি নানা বৈচিত্র ও সৌন্দর্যের প্রতীক বানিয়ে। মানুষের গোত্র ও গাত্রবর্ণ, স্বরের রুক্ষ্মতা-কোমলতা, দৈহিক উচ্চতা-খর্বতা আর রুচি-অভিরুচির ভিন্নতার মতো তার ভাষায়ও দিয়েছেন নান্দনিক বিভিন্নতা। আল-কুরআনুল কারীমে তাই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি আর রকমারি সৃষ্টির মতো ভাষার বিভিন্নতাকেও আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। (সূরা আর-রূম, আয়াত : ২২)

মাতৃভাষার গুরুত্ব শুধু ভৌগলিক বা ঐতিহাসিক কারণ অবধি সীমিত নয়; ধর্মীয়ভাবেও মাতৃভাষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। যুগে যুগে মানুষকে সুপথ দেখাতে আসা সব মহামানবই গুরুত্ব দিয়েছেন মাতৃভাষার প্রতি; কেননা স্বজাতির হৃদয় স্পর্শ করতে এরচে উত্তম ভাষা আর হয় না। সেহেতু তারা আল্লাহর দেয়া নবুওয়তের দায়িত্ব পালনে মাতৃভাষাকেই বাহন হিসেবে করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, ‘আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার কওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়, সুতরাং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ০৪)

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ পয়গম্বর তথা আল্লাহর দূত মুহাম্মদ রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাই মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করেননি। আল্লাহর বিশেষ হিকমতের কারণে উম্মী তথা নিরক্ষর থাকা এই নবীও দেখা যায় দাওয়াত তথা স্বজাতির কাছে রবের বার্তা প্রচারে মাতৃভাষার প্রতি গুরুত্বর ইঙ্গিত করেছেন। অন্যসব ক্ষেত্রের মতো তিনি বরং মাতৃভাষায়ও শ্রেষ্ঠ আরব ছিলেন। এ কোনো কবি-সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিকের দাবি নয়। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যবাদী লোকটিই ভাষা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তিনি নিজে আরবদের মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধভাষী ব্যক্তি ছিলেন; কারণ, তিনি কুরাইশ বংশীয় সন্তান আর তিনি বেড়ে উঠেছিলেন ভাষার দিক থেকে প্রসিদ্ধ আরবের তৎকালীন সা’দ ইবন বকর গোত্রে।

যত্নসহ ভাষা লালন তথা শুদ্ধভাবে জানা এবং চর্চা করা মাতৃভাষার গুরুত্বের অপরিহার্য দাবি। শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারা যে কোনো দায়িত্বসচেতন নাগরিকের কর্তব্য। আর মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বানকারী মুবাল্লিগ ও দীন প্রচারক আলিমদের জন্য এর গুরুত্ব আর সবার চেয়ে বেশি। সব ভাষাই আল্লাহর নেয়ামত বা দান হিসেবে কোনোটাই অকারণ পূজনীয় বা বর্জনীয় নয়। কেবল পবিত্র কুরআন ও হাদীসের ভাষা এবং ইসলামী জ্ঞানের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বস্ত ভান্ডার। কিন্তু আরবীর গুরুত্ব যদি হয় ইসলামী জ্ঞান আহরণের স্বনির্ভর ঠিকানা বলে তবে সেই জ্ঞান প্রচারের অপরিহার্য দায়িত্ব ও দাওয়াতে দীনের জিম্মাদারির কারণে অনন্য গুরুত্বের দাবি রাখে মাতৃভাষা। আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক ফেরাউনের কাছে অমোঘ সত্যের বাণী পৌঁছানোর দায়িত্ব পেয়ে তাই মুসা আলাইহিস সালাম আপন ভাই হারুনকে চাইলেন সহযোগী হিসেবে। নিজের ভাষায় কিছুটা জড়তা আর ভাইয়ের ভাষা উন্নততর হওয়ায় তিনি এ আবেদন জানান। চলুন কুরআন খুলে দেখি ‘আর আমার ভাই হারুন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে প্রেরণ করুন, সে আমাকে সমর্থন করবে।’ (সূরা আল-কাসাস : ৩৪)

প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে হয়, বাঙালী নাকি হুজুগে জাতি। কথাটার ঐতিহাসিক ভিত্তি জানি না। তবে কথাটা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ আমার ছোট্ট জীবনে ঢের মিলেছে। জাতীয় দিবসগুলোয় আমরা পথে নেমে আসি। দেশের প্রতি ভালোবাসা আর আবেগ উথলে ওঠে সকলের চেতনা এবং স্লোগানে। কিন্তু ভালোবাসার ব্যাকরণের কঠিন নিয়ম হলো, এ কোনো দাবি বা প্রদর্শনের বিষয় নয়। ভালোবাসা চর্চা ও অনুশীলনের বিষয়। লালন ও প্রমাণের বিষয়। রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাতৃভাষা ভাষা ছিল আরবি। তিনি সারা জীবনে নিজ মাতৃভাষায় একটি অশুদ্ধ বাক্যও উচ্চারণ করেননি; বরং অন্যদের মাতৃভাষা বিশুদ্ধভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে জ্ঞানের পথ উন্মুক্ত করেছেন। আবার কখনো কখনো তিনি যুদ্ধবন্দীদেরকে ভবিষ্যত প্রজন্ম সন্তান-সন্তুতিদের জন্য নিছক ভাষার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে, ভাষা শিক্ষা প্রদানের বিনিময়ে তাদেরকে মুক্তও করে দিয়েছেন। (তাবাকাতে ইবন সা‘দ)

অথচ আমাদের দেশে এখন কোনো পরিবারে মাতৃভাষা না জানা কৃতিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেরা অশুদ্ধ ইংরেজি বলার বদ অভ্যাসের সঙ্গে নিজেদের সন্তানদেরও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিয়ে মাতৃভাষা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আরও দুঃখের বিষয় হলো, এমন অনেক শিক্ষিত আছেন, যারা মাতৃভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা তো দূরের কথা, শুদ্ধ উচ্চারণে মাতৃভাষায় কথা বলতে পর্যন্ত পারেন না। এদিকে এফএম রেডিও আর কিছু ক্ষ্যাপাটে অর্বাচীন তরুণ-তরুণী টিভি উপস্থাপনায় বাংলিশ তথা বাংলা-ইংরেজির জগাখিচুরি রসায়নে বাংলার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। এদের উৎপাত-অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ভাষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক থেকে নিয়ে সচেতন রাজনীতিবিদরা পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-সমালোচনামুখর না হয়ে পারছেন না। কিন্তু কোন শক্তি আর ক্ষমতাবলে যে এফএম প্রজন্মের জনকরা অব্যাহতভাবে মাতৃভাষা বাংলার সৌন্দর্য হরণ করছে তা বোধগম্য নয়। মনে হয় রাষ্ট্রের প্রধান দুই স্তম্ভ তথা সংসদ ও আদালতের দৃঢ় হস্তক্ষেপ ছাড়া এদের খামখেয়ালি বন্ধ হবে না। দয়াময় আল্লাহ যার মুখে লালিত্যপূর্ণ ভাষা দিয়েছেন, মনের ভাব শব্দে প্রকাশে বাকশক্তি দিয়েছেন সে বড় ভাগ্যবান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাই বলেছেন, “নিশ্চয় ভাষাশৈলিতে জাদু রয়েছে”। (বুখারী, ৫১৪৬) অর্থাৎ ভাষার যে জাদুকরি প্রভাব রয়েছে তা অনস্বীকার্য।

তাই মানুষকে আল্লাহর সব নেয়ামতের সঙ্গে ভাষার নেয়ামতেরও যথার্থ মূল্যায়ন করা উচিত। ভাষার নেয়ামতের কদর করা মানে অশুদ্ধ শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ না করা, মিথ্যা বাক্য ব্যবহার না করা, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা, মাতৃভাষায় সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজে নিষেধ করা এবং ভাষার অপপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকা। মাতৃভাষায় সুন্দর ও শুদ্ধ উচ্চারণে মার্জিতভাবে কথা বলাকে যদি বলা হয় স্বর্ণ, আর সে কথাই যদি হয় সৎ কাজের আদেশ, অসৎকাজের বারণ এবং অপরের কল্যাণ কামনা, তবে তা হয় হীরের চেয়েও দামি। প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুকাল থেকেই বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তিনি জীবনে একটি মিথ্যা বাক্যও উচ্চারণ করেননি। বচনে, আচরণে, পোশাকে, আখলাকে পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ থাকাই ছিল তার বৈশিষ্ট্য। তার ভাষা ছিল শুদ্ধ এবং উচ্চারণ ছিল সুস্পষ্ট। তিনি দ্রুত বাক্য বলতেন না। তার প্রতিটি বাক্যই শুধু নয়, প্রতিটি অক্ষরও অন্যরা বুঝতে পারতেন। তার ভাষণ পদ্ধতি এমন ছিল যে, যত বড় মাহফিল হতো, তার স্বর তত উচ্চ হতো। যার ফলে বিদায় হজে আরাফার ময়দানে (মাইক ছাড়া) লাখ লাখ মানুষের তার ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে মাতৃভাষা মতো নেয়ামতের যথার্থ কদর করার তাওফীক দান করুন। ভাষার অপপ্রয়োগ ও অপভাষা থেকে বেঁচে বলার তাওফীক দান করুন। আমীন। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর