শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়া জামায়াতের উদ্যোগ ‘মার্চ ফর দাঁড়িপাল্লা ও গণমিছিল’ অনুষ্ঠিত সিংরইলে তরুণদের উদ্যোগে গড়ে উঠছে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল ঈশ্বরদীতে বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন চাটমোহরে ‘গরিবের ডাক্তার’ আলমগীর হোসেনকে ফেরত চেয়ে মানববন্ধন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুলবুলের অপসারণ দাবি বিক্ষোভকারীদের রাজশাহীতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকানে তালা : চাঁদাদাবি ও দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার আটোয়ারীতে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় চৌহালীতে নবাগত ইউএনও’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা বান্দরবানে ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপি প্রদান

রাজশাহীতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকানে তালা : চাঁদাদাবি ও দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

রাজশাহী প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:২৮ অপরাহ্ণ

রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার শালবাগান পাওয়ার হাউজ মোড় এলাকায় ভাংড়ি ও পুরাতন কাগজের ব্যবসা করা এক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা একই ব্যক্তিদের হাতে পুনরায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ তুলেছেন।
ভুক্তভোগী মো. রুবেল (৪২) বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। তিনি আসাম কলোনী এলাকার বাসিন্দা।
রুবেল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘দরিদ্র ভাংড়ি কাগজ ঘর’ নামে একটি দোকান পরিচালনা করছেন। দোকানটি ঘিরে প্রায় দশ বছর ধরে তাকে হুমকি, মারধর, চাঁদা দাবি ও দোকান তালাবদ্ধের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ০৫ আগস্ট ২০১৫ সালে বিকেল ৩টার দিকে আসাম কলোনীর দুই ব্যক্তি—মো. জয়নাল (পিতা মৃত বোরহান),মো. মুজাহার হোসেন বাবু (পিতা মৃত ইমান আলী) দোকানে এসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে জিআই পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করা হয় এবং দোকানে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রুবেল দাবি করেন, হামলাকারীরা তাকে জানায়, “মার্কেট সভাপতি সিজার তাকে মারার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছেন।” আহত অবস্থায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিনই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগের সুরাহা হয়নি, দোকান তিন মাস তালাবদ্ধ থাকে।
রুবেল বলেন, পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে আপোষের মাধ্যমে ২৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সিদ্ধান্ত হয় যে তিনি ওই স্থানে আর ভাংড়ির ব্যবসা করবেন না। এরপর ড্রাম ফাউন্ডেশন থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ এবং নিজের জমানো ২০ হাজার টাকা যোগ করে ১ লাখ টাকা অভিযুক্তদের হাতে দেন ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে। এরপর দোকানের তালা খুলে দেওয়া হয়।
রুবেলের অভিযোগ, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, দুপুর ১টার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারও দোকানে আসে। এ সময় তার ছেলে সিয়াম ও দোকানের কর্মচারী দোকান পরিষ্কার করছিলেন। অভিযুক্তরা আরও ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, চাঁদা না দিলে দোকান থেকে তাদের বের করে দেন এবং নিজেদের দুটি তালা ও রুবেলের নিজের দুটি তালা দোকানে লাগিয়ে চাবি নিয়ে চলে যান।
রুবেল আরও জানান, পরে তিনি মার্কেটের সভাপতি সিজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দেন। তবে সন্ধ্যার পর তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
রুবেলের অভিযোগ, অভিযুক্তরা দোকানের মালামাল লুটপাট করতে পারে বা দোকানে অবৈধ কিছু রেখে তাকে ফাঁসাতে পারে। তিনি বর্তমানে মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার অভিযোগ গ্রহণ এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও হামলার শিকার। আমার দোকান ও পরিবার নিরাপত্তা চাই। ন্যায়বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, দোকান দখন বা চাঁদাবাজির বিষয়গুলো আমি জানি না। আমি কয়েকদিন হলো যোগদান করেছি। মারামারির ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। যদি এমন হয় তাহলে তারা আসলেও তাদের দোকান ঘর উদ্ধার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মার্কেট সভাপতি সিজারকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর