শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়া জামায়াতের উদ্যোগ ‘মার্চ ফর দাঁড়িপাল্লা ও গণমিছিল’ অনুষ্ঠিত সিংরইলে তরুণদের উদ্যোগে গড়ে উঠছে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল ঈশ্বরদীতে বিশ্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন চাটমোহরে ‘গরিবের ডাক্তার’ আলমগীর হোসেনকে ফেরত চেয়ে মানববন্ধন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুলবুলের অপসারণ দাবি বিক্ষোভকারীদের রাজশাহীতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকানে তালা : চাঁদাদাবি ও দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার আটোয়ারীতে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় চৌহালীতে নবাগত ইউএনও’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা বান্দরবানে ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপি প্রদান

বান্দরবানে ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপি প্রদান

বান্দরবান প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৯ অপরাহ্ণ

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের ৪৫ বছরের বৈষম্যের অবসান ও ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার  ( ১০ ডিসেম্বর)বিকেলে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েন বান্দরবান জেলা শাখার পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও  সিভিল সার্জন  বান্দরবান কার্যালয়ের ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ নিয়ন্ত্রিত, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি মেডিক্যাল ডিপ্লোমাধারী ডিগ্রী (ডিএমএফ) মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (গঅঞঝ)। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল চালু হয়। যেখানে বর্তমানে ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি ডিপ্লেমা চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সারাদেশে বর্তমানে ১৭টি সরকারি ও ২০৯টি বেসরকারি চালু রয়েছে। বর্তমানে ৩৫ হাজার ডিএমএফ ডিগ্রিধারী নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছে। এছাড়াও এখনও নিবন্ধন প্রত্যাশী প্রায় ৫০ হাজার ডিএমএফ ডিগ্রিধারী চিকিৎসক এবং প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে ৮৫ শতাংশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।
দীর্ঘ এই সময় ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। এরমধ্যে তাদের চারটি প্রধান বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন স্মারকলিপিতে। বৈষম্যগুলো হলো- অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের ন্যায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত না করে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করে রাখা, পেশাগত পরিচয় সম্মানজনক উপাধি ডিপ্লোমা ডাক্তার হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া, দীর্ঘ এক যুগ (১২ বছর) এর অধিক সময় ধরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ না দিয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা ধ্বংস করা, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা না করা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ অব. আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম,সহ সভাপতি যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম, শিথোইচিং মার্মা,রেজাউল করিম,ভবানী দাশ,সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শংকর প্রসাদ দাশ,সহ সাধারন সম্পাদক মাসাংচিং মার্মা,সাংগঠনিক সম্পাদক রবেল দেওয়ান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চয় দাশ,অর্থ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,দপ্তর সম্পাদক যীশু দাশ,সমাজ কল্যাণ নুসরাত সায়মা জিনিয়া,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রিয়া দে,প্রচার ও প্রকাশনা মিজানুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা এএস মং মার্মা, মহিলা বিষয়ক এমি রাখাইন,নির্বাহী সদস্য ফাতেমা বেগম, জন্নাত আরা,অংখ্যমং মার্মা,শারমীন আক্তার ও দয়াময় চাকমা প্রমূখ।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েন বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ অব. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের সাথে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি প্রধান বৈষম্য শনাক্ত করা হয়েয়ে। বৈষম্য বিরোধী অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের বৈষম্যহীন সমতার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সারথি হিসেবে আমরা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার তথা ডিপ্লোমা ডাক্তারগন প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের দৃঢ় বিশ্বাস নোবেল বিজয়ী বৈষম্য বিরোধী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কখনো হতাশ করবেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর