শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে ৭ নভেম্বর পালিত গোপালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আটোয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত কর্মকর্তা’র নেতৃত্বে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিদর্শন টিম পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ! স্থানীয় প্রার্থী দাবিতে বিএনপির দুই নেতার যৌথ আন্দোলনের ঘোষণা জারিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রথম সফল নরমাল ডেলিভারি: মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ ঝাওয়াইল দাখিল মাদরাসা পরিদর্শনে সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম নাগরপুরে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত গোপালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবনে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

অজ্ঞাত লাশ শনাক্ত ও রহস্য উদঘাটন ২য় স্ত্রীকে হত্যায় ৩য় স্ত্রীর বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার স্বামী

মো:আখলাকুজ্জামান,গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ৬ জুন, ২০২১, ৭:০৬ অপরাহ্ণ

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মহিলার লাশ শনাক্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর থানায় প্রেসব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আকতার (সিংড়া সার্কেল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, অজ্ঞাত মহিলার নাম রাখী খাতুন (২৬)। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালধারি গ্রামের মসলেম উদ্দিনের মেয়ে। বছর দেড়েক আগে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মিলন ইকবালের (৩৪) সাথে তার বিয়ে হয়। রাখীর ২য় স্বামী মিলন এবং মিলনেরও ২য় স্ত্রী রাখী। মিলন ঢাকার ডিবিএল গার্মেন্টে প্রতিমাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন। তারমধ্যে ১০ হাজার টাকা রাখীকে দিতেন। রাখী বেহিসেবী জীবনযাপন করায় মাসের মাঝামাঝিতে আরো টাকার জন্য চাপ দিতো। এ কারণে ৩য় স্ত্রী তাহমিনাকে ঠিকভাবে দেখাশোনা করতে পারতো না মিলন। রাখীর বেপরোয়া চলায় বিষিয়ে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে ৩১ মে সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে স্ত্রী রাখীকে নিয়ে বাসযোগে এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে আসার নাম করে রওনা দেন। বাস থেকে রাত ১টার দিকে গুরুদাসপুর মহাসড়কের ১০ নম্বর ব্রিজে নামেন তারা। পরে কৌশলে ব্রিজের পাশেই পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে রাখীকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মিলন।

হত্যাকান্ডের পরদিন রাত ১টার দিকে রাখীর লাশ উদ্ধার করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাৎক্ষনিকভাবে নাটোরের পিবিআই ও সিআইডি ক্রাইম পুলিশ নিহতের আঙ্গুলের ছাপ ট্রেস করে জানতে পারে তার বাড়ী গোদাগাড়ী উপজেলায়। খবর পেয়ে রাখীর বোন মুরসালীন ও পারভীন লাশ শনাক্ত করেন।

গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মিলন ইকবালের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে ৩য় স্ত্রী তাহমিনার বাবার বাড়ী গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ীগ্রাম থেকে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার অভিযান চালান ওসি (তদন্ত) মোনোয়ারুল ইসলাম। নিহত রাখীর ভাই মোশারফ হোসেন গুরুদাসপুর থানায় মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাকে নাটোর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর