করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের আরোপিত সাতদিনের নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনেও ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে লকডাউন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বাণিজ্যিক শহর চাঁচকৈড় বাজারে মানুষের ভীড় কমছেনা। মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর যেভাবে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করেছিল এবার সে ভাবটি তেমন নেই। অটোভ্যান রিকসার দখলে থাকা রাস্তঘাটে মানুষের কমতি ছিলনা। মাস্ক ছিলনা অনেকের মুখে। কিছু মানুষ মাস্ক থাকা সত্তে¡ও সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না। কারো মাস্ক আবার নোংরা ময়লাযুক্ত। অধিকাংশ দোকানপাট খোলা ছিল। তবে বস্ত্র বিতানগুলো বন্ধ ছিল। হোটেল রেঁস্তোরা বন্ধ থাকলেও খোলা জায়গায় বসেনি কাঁচাবাজার। চাঁচকৈড় মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, রসুনহাট, চৈতালী হাটসহ চাঁচকৈড় বাজারের সর্বত্রই ছিল জনসমাগম।
রমজানের আগে লকডাউন দেওয়ায় চাঁচকৈড় বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী বরকত আলী বলেন, বস্ত্রবিতান ব্যতিত অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রয়েছে। লকডাউনে পড়ে ছিটকাপড় ব্যবসায়ী ও দর্জিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মার্কেট খোলার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে লকডাউন চললে তাদের না খেয়ে মরতে হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে আছে উপজেলা প্রশাসন। নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম