সাতক্ষীরায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ভারতীয় নাগরিক সহ ২৫জন আহত হয়েছে। দুপুরে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা থানার ত্রিশমাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন – পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর এলাকার নিখিল মালাকার ও গুমা এলাকার স্বরস্বতী হালদার। তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, যাত্রীবাহী একটি বাস খুলনা থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে আসার সময় একটি ডাম্পার ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাক উভয়েই দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী ডোবায় পড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব নাথ ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতীয় নাগরিক নিখিল চন্দ্র মালাকার জানান, কয়েক দিন আগে আমি শাশুড়িকে নিয়ে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসি। শুক্রবার সকালে দেশে ফেরার জন্য দুপুর ১২টার দিকে আমরা খুলনা থেকে বাসে উঠি। বাসটি দুপুর সোয়া একটার দিকে কাপাষডাঙা লস্কর ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি খোয়াবহনকারী ডাম্পার ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বহনকারী বাসের সামনে ধাক্কা মারে। এতে বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে আমিসহ কমপক্ষে ১৮ জন যাত্রী ও ড্যাম্পারের চালক এবং এক পথচারী গুরুতর আহত হন। এসময় ডাম্পার ট্রাকটি বাসে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে একটি ডোবায় পড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে বাসের মধ্যে আটকে পড়া দুই যাত্রীকে ক্রেন আনার পর উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে পথচারী কৃষ্ণা রানী মালাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ডিবিএন আক্তার মারুফ জানান, কৃষ্ণা মালাসহ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।