ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও কোনো বিদেশী শক্তির কাছে দেবনা। কাউকে দেতেও দেবনা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তির দেশ গড়তে চাই, যেখানে সকলে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করবে।”
আজ সকালে হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এর প্রতিষ্ঠিত নেছারাবাদ কমপ্লেক্স-এ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “টেকনাফ থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আমাদের সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মি ঘোরাফেরা করছে এবং যে কোনো সময় পরিস্থিতি শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তবে আমাদের দেশপ্রেমী সেনাবাহিনী ও বিজিবি সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমী, আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি এবং হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. এর নীতি ও আদর্শ আমাদের নতুন পথ দেখাবে।”
মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ইসলাম বিশ্বব্যাপী একটি শক্তিশালী ধর্মীয় সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছে, কিন্তু মুসলমানরা আজ বিভিন্ন দিক থেকে বিভক্ত এবং নিজেদের মধ্যে অযাচিত সংঘাত ও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এতে তাদের শক্তি, সম্মান এবং ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা মানবতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে এবং ইসলামের শান্তিপূর্ণ বার্তা প্রচার করতে সক্ষম হবে। সবশেষ বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শেষ হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তব্যদেন আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর, এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, গভর্নর ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোঃ নেছারুল হক, পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।