রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

প্রচন্ড শীতে কাঁপছে সলঙ্গাবাসী 

কে,এম আল আমিন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:২১ অপরাহ্ণ

কথায় বলে পৌষে তুষ করে।পৌষের শীতে কাহিল সলঙ্গা এলাকার জনজীবন।গত কয়েক দিন ধরে পৌষের শীত আর ঘনকুয়াশায় কাতর এ জনপদের মানুষ।প্রচন্ড শীতে কাঁপছে সলঙ্গাবাসী।কোথাও যেন সুর্যের দেখা মিলছে না। এবারে অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকেই যেন শীত যেন জেঁকে বসেছে।শীত শুরুতেই সলঙ্গা থানার বিভিন্ন হাটবাজার ও ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা।মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাতের বাজার থেকে শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে।শীতে সর্দি,কাশি,ঠান্ডাসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন সলঙ্গাবাসী।তাই কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক।গতকাল বৃহ:বার দুপুরে সলঙ্গা বাজার জনতা ব্যাংকের সামনে দেখা যায় নারী ও পুরুষ ক্রেতাদের ভীড়।শুধু তাই নয়,বাজারের মোহাম্মদ আলী মার্কেট,তালুকদার মার্কেট,বরাদ আলী সুপার মার্কেট,ভুষালহাটা,মাংশহাটার ডোপঘর গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা।ভুষাল হাটা হতে অগ্রণী ব্যাংক পর্যন্ত দু’পাশে বিক্রেতারা বসেছেন গরম কাপড়ের পসড়া সাজিয়ে।সিয়াম গার্মেন্টস্ এর মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন,আমরা বছরে দুইটি ঈদ ছাড়াও এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি।নামী দামী কম্বল,চাদর,শীতবস্ত্র ছাড়াও দেশের নামকরা কাজিপুরের জুট কাপড়ের কম্বলও বিক্রি করছি।তবে সারা বছর এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলেও তিনি জানান।ব্যবসায়ী জহুরুল ও শাহ আলম বলেন,গত বছরের চেয়ে এবারে শীতের শুরু থেকেই ক্রেতারা শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে।
ক্রেতা জেসমিন নাহার বলেন,আমরা গরিব মানুষ।দামী শীতের পোষাক কেনার মত সামর্থ্য নেই।তাই শীত নিবারন করতে কিছু শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের দোকানে এসেছি।সরেজমিনে সলঙ্গার মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে,শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়।মাথার টুপি,পায়ের ও হাতের মোজা,মাপলার,সুয়েটার, জাম্পার,ফুলহাতা গেঞ্জি আর জুট কাপড়ের কম্বল।দোকানীরা বলছে,এ বছরে মোকামেই শীতের কাপড়ের দাম একটু বেশি।আর ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন,ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় প্রচন্ড শীতে গরম কাপড়ের বাজারও গরম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর