সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে অতিরিক্ত সেশন চার্জ ও বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের উপর অনেকটা জোর করেই এই ফি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে অভিভাবকদের ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা বা সতর্কীকরণ নোটিশ দিলেও উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল তা আমলে নিচ্ছে না।
মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাগুলোতে এমপিভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীপ্রতি টিউশন ফি বা মাসিক বেতন টিফিন সহ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। বছরের হিসাবে এ ফি দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে বেতন নেওয়া হচ্ছে মাসিক ৮শ’ টাকা। বেতনের বাইরে এমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট বার্ষিক সেশন ফি ১ হাজার ৩৬০ টাকা হলেও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ফি ১ হাজার ৮১৫ টাকা।
সরকার নির্ধারিত সেশন ফি পৌর শহরে এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে সর্বচ্চ ১৭৯৬ টাকা হলেও মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে নেওয়া হচ্ছে দ্বীগুণ ৩৬৮০ টাকা। এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক বেতন সর্বচ্চ ২৫০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে বেতন ৮০০ শত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। নতুন বছরে এটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উল্লাপাড়া মোমেনা বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ জানান, স্কুলটি উন্নতমানের শিক্ষার মান অনেক ভালো, এর সাথে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের তুলনা করা যাবে না। বর্তমানে মাসিক বেতন ও সেশন নিয়ে সমস্যা থাকায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে সকল সমস্যা সমাধান করে খুব দ্রুতই ভর্তি কার্যক্রম আবারো চালু করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের সভাপতি আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই সরকার নির্ধারিত ফি নিতে হবে। সরকারি নির্ধারণের বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনার বাইরে বেতন ও সেশন ফি নিলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।