শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

সুজানগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান, পরিবারের চাপে প্রেমিক আত্মগোপনে

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার পাবনা:

পাবনার সুজানগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক আলী রেজার বাড়িতে অবস্থান করছে প্রেমিকা মীম খাতুন (১৬)। বিশেষ করে প্রেমিক আলী রেজা প্রেমিকা মীম খাতুনকে বিয়ে করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বাড়ি থেকে ভাগায়ে নিয়ে আসায় সে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে আলী রেজাও তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে মরিয়া। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পরিবার। বর্তমানে আলী রেজা তার পরিবারের কর্তা ব্যক্তি সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহজাহান আলীর চাপে বাড়ি থেকে আত্মগোপন করে আছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

 

জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে উক্ত চরভবানীপুর গ্রামের আনছের আলী মন্ডলের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রেজার সাথে পাবনা সদর উপজেলার সুখচর গ্রামের আজিবর মোল্লার মেয়ে মীম খাতুনের মনদেওয়া-নেওয়া চলছিল। এরই জেরধরে গত শুক্রবার দুপুরে প্রেমিক আলী রেজা প্রেমিকা মীম খাতুনকে বিয়ে করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বাড়ি থেকে ভাগায়ে নিয়ে আসে। মীমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলী রেজা মীমকে ভাগায়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার ফুফু বাড়ি পাবনা সদরের ফারাদপুর গ্রামে উঠে এবং মীমকে বিয়ে করবে বলে তার পরিবারকে জানায়। কিন্তু তার পরিবার বিষয়টি জানার পর বিশেষ করে আলী রেজার চাচা উক্ত শাহজাহান আলী ওই বিয়ে হতে পারেনা বলে বাধসাধে। এরই এক পর্যায়ে সে মীমকে ফারাদপুর থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং আলী রেজাকে আত্মগোপনে থাকতে চাপ সৃষ্টি করে।

 

ফলে আলী রেজা বাধ্য হয়ে আত্মগোপন করে। মীমের পরিবার অভিযোগ করে আরো বলেন আলী রেজার পরিবার বিয়ের পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ও বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। কিন্তু তারা মীমের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা মেয়েকে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিতে রাজি নয়। এমনকি মীমও বাড়ি ফিরে যেতে রাজি নয়। আর সেকারণে সে গত ৪/৫দিন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করছে। এ ব্যাপারে উক্ত শাহজাহান আলী তাদের বাড়িতে মীমের অবস্থান করার কথা স্বীকার করে বলেন আলী রেজাকে আত্মগোপনে থাকতে আমি কোন চাপ সৃষ্টি করিনি। সে আগে থেকেই বাড়িতে নেই। তাছাড়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তবে থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাদিউল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর