মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে কিছু অসাধু পুলিশের ছত্রছায়ায় অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা

অভয়নগর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩, ৫:২৬ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগরে কিছু অসাধু পুলিশের ছত্রছায়ায় অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা । তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা এখন অভয়নগর থানার অসাধু ২ থেকে ৩ জন পুলিশ অফিসারের ছত্রছায়ায় রমরমা মাদক ব্যবসা করে চলেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। ফলে উপজেলার সব স্থানেই এখন মাদকের ছড়াছড়ি, ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।
জানা গেছে, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা রমরমা মাদক ব্যবসা করে চলেছেন, একশ্রেণীর অসাধু পুলিশের এসআই ও এএসআই দের যোগসাজশে মাসিক মাসোয়ারা চুক্তিতে ওই সব মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য মাদক বেচা বিক্রি করছে। ফলে উপজেলার অলিগলিসহ সব স্থানে বেড়েছে মাদক সেবন-বিক্রি। পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খোলেনা বা মাদকের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারেনা। এমনটাই উঠে এসেছে তথ্য অনুসন্ধানে। খোঁজ নিয়ে আরোও জানা গেছে, থানার অসাধু দুই-থেকে তিনজন পুলিশ অফিসারের জন্য অন্য সৎ পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক ব্যবসা বন্ধ করার ভূমিকা পালন করতেও তাদের নাজেহাল হতে হয়। যখনই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তখনই অসাধু পুলিশের ফোনে বা টেক্স ম্যাসেজে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায় এবং মাদকদ্রব্য নিরাপদ হেফাজতে রেখে গা ঢাকা দেয়। ফলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ব্যর্থই থেকে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুধু মাত্র দুই থেকে তিনজন পুলিশ  কর্মকর্তার জন্য আমরা সঠিক ভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে পারিনা। যখনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাতে যাই, তখনই অসাধু অবৈধ পন্থায় সুযোগ গ্রহনকারী পুলিশ অফিসারের ফোন বা টেক্সট মেসেজ পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়ে পালিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার থাকেনা। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ওই সব অসাধু পুলিশের যোগসাজশে উপজেলায় চলে রকমারী কারবার। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতো থাকেই তাছাড়া মাদক বিক্রিকারীদের কাছে যে সব মাদক সেবনকারীরা মাদক কিনতে আসে তাদের সাথেও কৌশলে করা হয় বাণিজ্য। মাদক বিক্রেতার কাছে মাদক কেনা শেষ হলে আগে থেকে ওই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেবন কারীদের আটক করতে ওইসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা ওত পেতে থাকে, মাদক কেনা শেষ হলেই তাদের মাদকসহ আটক করে ধরে বিভিন্ন ভাবে দেনদরবারের মাধ্যমে লুটে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা নিয়ে রফাদফার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যে কারনে মাদক সিন্ডিকেট দিনদিন বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। ফলে উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীদের লাগামটেনে ধরাতো দুরে থাক দিনদিন মাদক ব্যবসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।উপজেলায় মাদক বিক্রি-সেবন এখন প্রকাশ্য চলছে। অনেকে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তখন বলার কিছু থাকেনা। সচেতন মহল জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মিলিয়ে যে সকল অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে উপজেলায় মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে পড়ছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য পুলিশ প্রসাশনের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এবিষয়ে যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ সার্কেল মুকিত সরকার বলেন, এরকম তথ্য আমাদের কাছে নেই, অনেক সময় অভিযোগ থাকে স্বাক্ষী পাওয়া যায়না, যদি তথ্য স্বাক্ষী থাকে আমাদের কাছে দিবেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর