সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাবনায় মাছভর্তি গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যাক্তি নি*হ*ত, আ*হ*ত ১ জন  বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ সুলতানপুর স: প্রা: বি: ভর্তি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার অভিযোগ  পাকুন্দিয়ায় তিন দিনব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন সেরা সংগঠন সম্মাননা পেল বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ (বিএসএসকেপি) চাটমোহরে মাদ্রাসার সুপারকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন নাগরপুরে ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ দুই চোর গ্রেফতার ভূঞাপুরে রাতের আধারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

যশোরে সরকারি রাস্তায় বাঁশের বেড়া : অবরুদ্ধ শতাধিক পরিবার

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০, ৩:৫২ অপরাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

যশোর সদর উপজেলায় শতবর্ষী একটি সরকারি রাস্তার বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে ওই রাস্তায় চলাচলকারী গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। এছাড়া চিত্রা নদীর পাড়ে গ্রামের সরকারি কবরস্থানে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামে প্রবেশের একমাত্র প্রায় ৬ ফিটের রাস্তায় এই বেড়া দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও রাস্তা দখলমুক্ত হয়নি।   এতে গ্রামবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রামবাসী জানায়, তৎকালীন ১৯৪৬ সালে ভারতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় তারা এদেশে আসে। যশোর শহরের বিভিন্নস্থানে সরকারি সম্পত্তিতে থাকতে শুরু করে। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্থান সরকার জরুরী ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ করে বাড়ীঘর নির্মাণ করে তাদের পূর্ণবাসন করেন। তখন থেকেই তারা বরাদ্দকৃত জমিতে খাজুরা গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে।

 

গ্রামটিতে প্রবেশের একমাত্র প্রায় ৬ ফিটের একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। চিত্রা নদীর পাড়ে সরকারি কবরস্থান যেতে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়। শতবর্ষী রাস্তাটিতে হঠাৎ করেই গত তিন সপ্তাহ ধরে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্যা সরকারি রাস্তাটি নিজের দাবি করে জোরপূর্বক এ কাজটি করেছেন।   এতে গ্রামবাসী বাধা দেওয়ায় বেড়া প্রদানকারী ও তার ছেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। স্থানীয় একটি স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক মহল এ কাজে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলে জানান ভূক্তভোগীরা।   রাস্তায় বেড়া প্রদানকারী আব্দুল খালেক মোল্যা জানান, ‘জমিটি আমার নামে রেকর্ড রয়েছে। আমি কারও চলাচলেও পথ বন্ধ করিনি। আমার কাছে রেকর্ডের কাগজপত্র আছে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার ছেলে কাউকে কোন হুমকি-ধামকি দিইনি। কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’   সদরের লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন জানান, ‘ওই রাস্তায় গ্রামের সিংহভাগ লোকের চলাচল।

 

এছাড়া নদীর পাড়ে একটি সরকারি কবরস্থান রয়েছে। সেখানে যেতে ওই রাস্তার বিকল্প নেই। এ কারণে রাস্তাটির প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার জন্য চেষ্টা করছি।’   শনিবার জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমি যশোরে সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে এখনি বিষয়টি জানানো হচ্ছে। তিনি এটি গুরুত্বের সাথে দেখবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর