মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
মণিরামপুর থানাধীন কুচলিয়া সাকিনস্থ জনৈক কল্যান এর মাছের ঘেরের দক্ষিণ পার্শ্বে মণিরামপুর-সুন্দলীগামী পাকা রাস্তার উপর রফিকুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত আমারত বিশ্বাস, সাং- মধুপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর কে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন লোক গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে।
এই সংক্রান্তে রফিকুলের স্ত্রী মোছাঃ শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে মণিরামপুর থানার মামলা নং-০৬ তাং-০৯/০৭/২০২০ ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ রুজু হয়।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহলর্ষক হওয়ায় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম এর দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও মনিরামপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অভয়নগর, কোতয়ালী ও মণিরামপুর থানা এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ৬ আসামীকে আগ্রেপ্তার করেছে।
আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ভিকটিম রফিকুল ইসলামকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র -১টি দু’নালা বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ গুলি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্তে অভয়নগর থানার মামলা নং-১৩ তাং-১৮/০৭/২০২০ ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-ক রুজু করা হয়েছে। জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা নব্য পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির’’ পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাছের ঘের দখল, চাঁদা দাবী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। ভিকটিম রফিকুল ইসলামও চরমপন্থি দলের সদস্য ছিল বলে জানা যায় এবং তার নামে একটি হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বর্ণিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অত্রআ মামলার ভিকটিম রফিককে টাকা ও মোবাইল ফোন দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল।
১। মোঃ হাদিউজ্জামান রানা (৪৪), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন, সাং- বাহাদুরপুর, থানা- মণিরামপুর, জেলা-যশোর
২। মোঃ হেলাল ভুইয়া (২০), পিতা- মোঃ আয়নাল হক ভুইয়া, সাং- রানা বাটা, ৪নং ওয়ার্ড নওয়াপাড়া, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর।
৩। মোঃ সেলিম (২৬), পিতা- আতিয়ার রহমান, সাং-উত্তর বাহাদুরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।
৪। মোঃ হাসান আলী (২২), পিতা- জলিল গাজী, সাং- উত্তর বাহাদুরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।
৫। সমিরন পাড়ে (৫৪), পিতা- মৃত মহাদেব পাড়ে, সাং- ডাঙ্গা মশিহাটি, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর।
৬। তাপস মোডেল (৩৮), পিতা-মৃত গোবিন্দ মন্ডল, সাং-নেবুগাতি, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।
গ্রেপ্তারের বিষয়টা যশোর জেলা পুলিশ প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিশ্চত করেন।