মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারের ভুলের কারণে গোপনে বিদ্যুৎ লাইন নিমার্ন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইনুল হক (২৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর গ্রামে স্টিলের পিলারের নিচে পানিতে দন্ডায়মান ওই শ্রমিক বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার তৈয়ব আলীর প্রেরিত কয়েকজন শ্রমিক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১নং রুহিয়া ইউনয়নের পশ্চিম কুজিশহর গ্রামের মেম্বার সালোয়ার হোসেনের ঘুরণগাছ এলাকায় হাসকিং মিলের লোড বৃদ্ধির জন্য ট্রান্সফরমার উত্তোলন করতে আসে।নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ লাইন সাটডাউন করে নির্মাণ কাজ করার কথা।কিন্তু ওই শ্রমিক রুহিয়া অফিস অভিযোগ কেন্দ্রকে অবগত না করে নির্মান কাজ করার জন্য দুপুর ১ টায় ঘনিমহেশপুর এলাকায় স্থানীয় ১১ হাজার ভোল্টের স্টিলের পিলারে উঠে মূল সংযোগ বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।পিলারের উপরে একজন শ্রমিক কাজ করার সময় পিলারের সাথে মূল লাইনের তার বৈদ্যুতিক তারের বিদ্যুতায়িত হয়।ওইসময় পিলারের নিচে পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রামিক আইনুল হক বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। নির্মান কাজে নিয়েজিত অপর শ্রমিকরা মৃত আইনুল হকের লাশ তড়িঘড়ি করে নিয়ে যায়।
ওইসময় রুহিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ শামীম হোসেন সহ স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন।ইনচার্জ শামীম হোসেন ওই শ্রমিকদের কাছে বিদ্যুৎ লাইন সাটডাউনের কাগজ দেখতে চাইলে তারা দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ সময় রুহিয়া অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান,কাজটি মূলত ডিপোজিট ওয়ার্ক।সেক্ষেত্রে লাইন নির্মান শ্রমিকরা অজ্ঞাত কারণে তাকে সাটডাউনের পত্র না দিয়ে নিজেরা লাইনে উঠে লাইন ডিসকানেক্ট করে কাজ করার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।এর জন্য ঠিকাদার ও তার লোকেরা এ মৃত্যুর জন্য দায়ী।
অবশ্য এ বিষয়ে ঠিকাদার তৈয়ব আলীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ধরেও তার পরিচয় অস্বীকার করেন।
অবশ্য ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেরারেল ম্যানেজার (এজিএম -এমএস) প্রকৌশলী মাহাবুর রহমান’র কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু জানেন না বলে জানান।তবে কাজটা যেহেতু ইন্জিনিয়ার সেকশনের সেক্ষেত্রে তারা ভাল বলতে পারবেন বলে জানান।