সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাটি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টাকারী সন্ত্রাসী রমজান বাহিনীর প্রধান সহ অজ্ঞানামা আসামিদের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো
গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তালা থানায় মামলা নং- ০৮ তারিখ-১৯/১২/২৪ হত্যার চেষ্টা মামলা হলেও রমজানসহ তার অনুসারী বাহিনীর লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তে। এতে করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে হুমকিও দিচ্ছেন যথারীতি সন্ত্রাসী রমজান ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
অথচ তালা থানা পুলিশ এখনো পর্যন্ত সন্ত্রাসী রমজানকে আটক করতে ব্যর্থ।
এদিকে সন্ত্রাসী রমজানকে আটক করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ব্যানারে সন্ত্রাসীকে আটক করার দাবিতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
প্রতিদিনই ফলোআপ করে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও অজানা কারণে তাদের আটক করছেন না বলে বলছেন অনেকে।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা বলছেন,পুলিশ চাইলে ২৪ ঘন্টার ভিতরে আসামি আটক করতে পারে, আমরা বিগত সময়ে দেখেছি পুলিশ বিভিন্ন আসামী ২৪ ঘন্টার ভিতরে আটক করে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের জানিয়েছেন অথচ সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় পুলিশ আজও তাকে আটক করতে পারছে না তাহলে কি সন্ত্রাসী রমজান আইনের উর্ধ্বে ক্ষমতাবান।
সন্ত্রাসী রমজান বিএনপির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছেন।
দেশের জনপ্রিয় একটি দল থেকে বহিষ্কার হলেও তাকে পুলিশ কেন আটক করছে না এটাই এখন প্রশ্ন।
অপরদিকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমান তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাংবাদিক আকতারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি আমরা বিগত দিনে দেখেছি পুলিশ চাইলে ২৪ ঘন্টার ভিতরে আসামি আটক করতে পারে অথচ আমাদের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আসামিকে আটক করতে পারেনি, আমি পরিবার নিয়ে খুব ভয়ের ভিতরে আছি,বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের লোকজনকে মোবাইল করে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-র কাছে সন্ত্রাসী রমজান কে আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমরা তাকে আটক করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না সন্ধান পেলেই আটক করা হবে।
সন্ত্রাসী রমজানের মোবাইল ট্রাকিং করে আটক করা সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমরা তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে আটক করার জন্য।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)-র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঢাকাতে আছি, তবে তালার ওই ঘটনায় তালা থানা অফিসার কে বলা আছে সন্ত্রাসী রমজানকে দ্রুত আটক করা হবে।
অপরদিকে সাতক্ষীরা জেলার সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ জানান, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিগত সময় ও বর্তমানে অনেক সুনাম আছে, সাতক্ষীরায় অনেক ঘটনা আছে যা পুলিশ ২৪ ঘন্টার ভিতরে সমাধান করে সাধুবাদ কুড়িয়েছেন আশা করছি সাংবাদিক হত্যা চেষ্টাকারী কে অতি দ্রুতই গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রয়েছে তার প্রমাণ করবেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ রমজানকে আটক করতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করছি।