নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়ন এ ধলির ছাড়া বনবিটের আওতাধীন ২১জন বিশিষ্ট সামাজিক বনায়নের পলট থেকে চুরি করে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। বিট কর্মকর্তা বশির আহমদ ২০০ মত আকাশমনি গাছ উদ্ধার করেছে প্রায় ২ মাস হয়ে গেছে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরজমিনে দেখাযায়, উদ্ধারকৃত গাছ গুলো বর্তমান বিট অফিসের সামনে রয়েছে। বিট অফিসার বশির আহমদের নেতৃত্বে উক্ত গাছ উদ্ধার করা হয়েছে ভারুয়াখালী আনুমিয়ার বাজার জায়তুন নুর নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ী দোকান থেকে। বিট অফিসার তাকে মামলা হামলার ভয় দেখালে ব্যবসায়ী জায়তুন নুর স্বীকার করে সে ধলিছড়া শুক্কুর নামে আরেক ব্যবসায়ী কাছ থেকে কাছ ক্রয় করে ।
সংবাদ কর্মি এই বিষয় জানতে কাঠ ব্যবসায়ীর জায়তুনের সাথে কথা বললে সে জানায়, গাছ শুক্কুর কাছ থেকে কিনে নিয়েছে এবং শুক্কুর তাকে বলে তুমি টাকা দিয়ে গাছ কিনেছ তোমার টেনসন করার কিছু নেই তোমার গাছ তুমি পাব। সে আরো বলে আমি এই গাছ বিট অফিসারের সাথে থাকা লোক থেকে কিনে নিয়েছি। বাগান থেকে গাছ চুরি করে নিয়ে গেলে পলটের মালিকদের মধ্যে উত্তেজনামুলক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে ছিল । তখন বিট অফিসার বশির পলটের সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলে চুরদের বিরোদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং সামাজিক বনায়ন থেকে যারা গাছ চুরি করে গাছ কাটছে এবং সহযোগিতা করেছে সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। দুইমাস পরও যখন কোন কিছু করেনি বিদায়, পলটের শেয়ারদার একব্যক্তি নাম গুপন রাখার শর্তে জানায়, শেষ পর্যন্ত বিট কর্মকর্তা ঐ চুরদের সাথে গোপনে আঁতাত করে বা হাত মিলিয়ে যে কোন বিনিময় এক হয়ে যায় এবং আজ ২/৩ মাস পার হয়ে যাচ্ছে চুরদের বিরোদ্ধে কোন আইনানুক ব্যবস্থা করা হয়নি বা দেখা যাচ্ছেনা। সংবাদ প্রতিনিধি এই বিষয়ে আরো জানতে বিট অফিসার বশির আহমদের সাথে কথা বললে সে জানায় আমি এখনো কে বাগান থেকে গাছ চুরি করে কাটছে সিলেকটেট পারেনি বিদায় আইনানুক কোন ব্যবস্থা করা হয়নি,চুর ধরার প্রক্রিয়া চলছে।
পলটের যারা ২১বিশিষ্ঠ মালিক রয়েছে তাদের বক্তব্য মতে ঐ বিট অফিসার গাছ চুরদের কাছ থেকে গোপন ভাবে সুবিধা গ্রহন করে চুপ করে থাকছে। তাছাড়া গোপনে বিট কর্মকর্তার বিষয়ে খবর নিলে তার অনেক অপকর্ম রয়েছে জানতে পারি। সগ্রহিত তথ্যমতে ভারুয়াখালী পশ্চিম পাড়া থেকে পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে ডেম্পার ধরা পড়লে সে ডেম্পার টাকার বিনিময় ছেড়েদেয়। একই ভাবে ননামিয়া পাড়া পাহাড় কাটার সময় শাহাজানে গাড়ি মাটি সহ স্পটে ধরে পড়ে,পরে ওটাও টাকার বিনিময় ছাড় পায়। ননামিয়া পাড়া মৌঃ ইউনুচ পাহাড় কাটছে প্রায় দুমাস ঐ অসাধু কর্মকর্তা সেখানে যাওয়ার পরও কোন কিছু করেনি। এভাবে ভারুয়াখালী,রশিদ নগরে অবৈধ পাহাড়া ও গাছ কাটার উৎসব চলছে । বিট অফিসারের অহরহ এইরকম অবৈধ কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। এসব অপকর্মের তদন্ত পূর্বক সরকারী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।