চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ক্ষমতাআমলে ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরে ৫০ হাজার টাকা ও ২০১৯/২০২০অর্থ বছরের ৫৪ হাজার টাকার ডিভাইস ক্রয় করে দু বছরেও প্রতিবন্ধিদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এটিও মনিরুজ্জামান খান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পেয়েই প্রতিবন্ধিদের ডিভাইসের ৫০ হাজার টাকার ডিভাইস না কিনে সরকারের অর্থ তার পকেটে রেখেছে।
শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৯/২০২০অর্থবছরের ৫৪ হাজার ও ২০১৮/১৯ অর্থ বছরের ৫০ হাজার টাকাসহ ১লক্ষ ৪ হাজার টাকা প্রতিবন্দিদের উপকরণের জন্য সরকার এ টাকা প্রদান করে শিক্ষা অফুসে। গত ৩০ জুন ২০১৯ এর ৫০ হাজার টাকা ৩০ জুন ২০২০ সালে সরকার ৫৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
২ জুনের টাকা কোথায় গেল জানতে চায় প্রতিবন্ধিরা। জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে একজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসাবে কর্মকর্তা থাকার কথ। দুদকে মামলা বা যে কোন কারণে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজকে। তার পর থেকেই পদটি শুন্য হলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন এটিও মনিরুজ্জামান খান। অফিসের দায়িত্ব থাকা সময়ে গত ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলার পতিবন্ধিদের ডিভাইস(উপকরণ) এর জন্য সরকার ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। কিন্ত গত ৩০জুন ২০১৯সালের মধ্যে ডিবাইজ বিতরণ করার কথা,দু বছরেরও প্রতিবন্ধেদের ডিভাইস প্রদান করা হয়নি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু গোলকাবসহ বিভিন্ন খেলাদুলায় বিজয়ীদের পুস্কার প্রদান নিয়েও আলোচনা ও শিক্ষা দালালরা তাকে নাগরপুর থেকে হোন্ডাদ্বারা আনা নওয়া করে বলেও আলোচনা সমলোচা রয়েছে। সরকারের নীতিমালা অমান্য করে সরকারের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিজের কাছে রেখে অর্থ আত্মসাতের পায়তারা ও তালবাহানায় চলে গেল পর্যায়ক্রমে ২ টি বছর। জানা গেছে কে এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা তার খুটির জোর কোথায় জানতে চায় প্রতিবন্ধিসহ সচেতন মহল। দির্ঘ ২৪ মাস (দুটি জুন মাস) পার,২৬ মাসে পর্দাপন করলেও ডিভাইসের কোন খবর নেই।
এব্যাপারে এটিও মনিরুজ্জামান জানান, প্রতিবন্ধিদের টাকা খাওয়ার ইচ্ছা নেই, তবে তাদের ডিবাইজ দিতে দেরি হচ্ছে করোনার জন্য। গত ৩০জুন ২০১৯ সালে ডিবাইস বিতরণ করার কথা ছিল, যে কোন কারণে ডিবাইজের উপকরণ ক্রয় করা হয়নি । প্রতিবন্ধিদের টাকা অফিসের একাউন্টে ছিল, আমি সম্পর্ণ অর্থ উত্তলন করে আমার কাছে রেখেছি। অতিশিগ্যই ডিবাইস ক্রয় করে বিতরণ করা হবে।
এদিকে সাবেক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ আবার কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এবিষয়ে বর্তমান শিক্ষা কর্মকর্তা তার দায়িত্বে ফিরে আসলেও তিনি ২০১৯ সালের ডিভাইজের টাকার কিছুই জানেন না বলে জানালেন জাহাঙ্গীর ফিরোজ। তিনি আরও বলেন ২০২৯/২০২০ অর্থ বছরে প্রতিবন্ধিদের ডিভাইজের জন্য ৫৪ হাজার টাকা এসেছে ডিবাইস ক্রয় করা হয়নি তবে অচিরেই তা বিতরণ করা হবে। এক প্রশ্ন উত্তরে বলেন ৩০জুন এর মধ্যে টাকা ও ডিভাইজ বিতরণ করার কথা কিন্ত কাজে ব্যস্ততা থাকায় দেরি হয় তবে ২ বছরের টাকা মিলিয়েই ডিভাইজ বিতরণ করা হবে। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনও এবং আপনাদের (সাংবাদিকদের) নিয়েই প্রতিবন্ধিদের উপকরণ বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।