রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওটি ও এক্সরে রুম

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৯:৫২ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নারী বান্ধব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের বহুদিন ধরে সংকট চলছে। ফলে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে হচ্ছে না কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার, আল্ট্রাস্নোগ্রাম ও এক্সরে। ফলে নারী বান্ধব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার ও এক্সরে কক্ষ সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। একই সঙ্গে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়েও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অপরদিকে এ উপজেলায় যখন প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মত অপারেশন, আল্ট্রাস্নোগ্রাম, এক্সরে অহরহ করছেন তখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌচ্ছে দেওয়ার যে কাজ করছেন তা এই নারী বান্ধব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি অপারেশন, আল্ট্রাস্নোগ্রাম ও এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ডায়গোস্টিক সেন্টারে গিয়ে তাদের হয়রানিসহ মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হচ্ছে ।

জানা যায়, সরকার স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিকায়ন করে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৫ সালে। মূল ভবনের পাশে আরও একটি দৃষ্টিনন্দন তিনতলা ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছিল একই বছরে। ওই বছরই তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃষ্টিনন্দন ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন। মূলত তখন থেকেই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিক তিনতলা ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রসারিত হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করেও আসছেন। এই ভবনের ২য় তলায় রয়েছে অপারেশনের সুবিধা সম্বলিত একাধিক এয়ারকন্ডিশনার (এসি) যুক্ত একটি সজ্জিত অপারেশন থিয়েটার। কিন্তু সেই অপারেশন থিয়েটার আজ অবধি অপারেশনের জন্য চালু হয়নি। ফলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রদেয় অপারেশন কাজের জন্য যন্ত্রপাতি ইত্যেমধ্যে নষ্ট হতে বসেছে।

অপরদিকে এখানে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অ্যানেসথেসিস্ট নেই। ফলে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ানসহ সব ধরনের অস্ত্রোপচার। তাছাড়া দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অকেজে অবস্থায় আছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের এক্সরে মেশিন। আল্ট্রাস্নোগ্রাম সুবিধা পায় না সেবা গ্রহীতারা। অন্যদিকে এ নারী বান্ধব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ১৫টি পদের বিপরীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ কর্মরত রয়েছেন মাত্র নয়জন মেডিকেল অফিসার। খালি পড়ে আছে ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ। মূলত এসব পদে কখনই চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয় নি।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতিদের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। অনেক সময় বাধ্য হয়ে তাদের উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে সিজারিয়ানের মত অপারেশন করাতে হচ্ছে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। অথচ সরকারি এ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন, আল্ট্রাস্নোগ্রাম, এক্সরে হলে স্বল্প খরচে তারা সেবা পেতেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, তিনি নিজেই একজন গাইনি সার্জন। কিন্তু এখানে অ্যানেসথেসিস্ট নেই। তাছাড়া ওটির সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার মেশিনও নেই। তাই এখানে সিজারিয়ানসহ বড় ধরনের কোনো অপারেশন করা যাচ্ছে না। তবে সিজারিয়ান সহ এক্সরে সেবা আগামীতে অতিশ্রীঘই দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর