পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মসজিদ কমিটির অর্থ আত্মসাৎ এর প্রতিবাদ করায় কমিটির সভাপতি সম্পাদক দ্বারা হুমকি এবং জোড় পূর্বক গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে। ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক ঐ গ্রামের মৃত বাবুর আলী প্রামাণিকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহিষবাথান গ্রামের মৃত ফরহাদ হোসেন আকন্দের ছেলে মো: মোশাররফ হোসেন আকন্দ (মসজিদ কমিটির সভাপতি) ও মৃত বাহের উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মো: ছাইদুর আলী প্রামানিক (মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক) মহিষবাতান গ্রামের বহুদিন পূর্বের একটি পুরাতন মসজিদের সংস্কারের জন্য মসজিদের আওতায় থাকা মহল্লার সকল বাড়ী হইতে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা ধরে এবং মসজিদ কমিটির নিকট হতে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা তোলে। এরপর মোশাররফ কাউকে কোন কিছু না বলে মসজিদের ক্যাশ টাকা থেকে ৩০ টাকা ফিটের বালু ৬৫ টাকা দাম ধরায়। তখন গ্রামের লোকজন তার কাছ থেকে বালু ক্রয়ের রশিদ চায় তখন মোশারফ রশিদ না দিতে পারলে মহল্লার লোকজন মোশারফকে জরিমানা করেন। এই বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘ দিন বিবাদ চলার কারণে মসজিদ কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতি মোশারফ ও সম্পাদক সাইদুল আলীকে মসজিদের হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিতে বললে তারা তা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। এছাড়াও প্রায় দেড় মাস পূর্বে গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলীর বাড়ীতে বিবাহের জন্য মাইক ও সাউন্ড বক্স নিয়ে মসজিদের পাশে বাজানোর সময় আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি মসজিদ কমিটির সভাপতিকে বললেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি। তাই দ্রুত মিটিং দিয়ে আয় ব্যয়ের হিসাব চান আব্দুর রাজ্জাক। এবং নতুন কমিটি দেয়ার প্রস্তাব করেন। এ কারণে সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের কিছু লোকজনের জোগ সাজসে আব্দুর রাজ্জাক কে হুমকি প্রদান করেন এবং তাকে জোড় পূর্বক গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে দেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চারদিক থেকে বিভিন্ন রকম প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে বাড়িছাড়া হয়ে আছি এবং জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, মসজিদে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়েছে যেটা মিটিংয়ে সবাইকে দেখানো হয়েছে। রাজ্জাক মিটিংয়ে না থেকেই মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তাকে কমিটি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদেরকে সমাজের সামনে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এসব মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।