অমিত হাসান হৃদয়:
ময়ূর-২ লঞ্চ নিয়ে এবার বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে সংঘটিত লঞ্চ দুর্ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে জানা গেছে বুড়িগঙ্গায় “এমএল মনিং বার্ড”কে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ঘাতক লঞ্চ ময়ূর-২ মূল মাস্টার নয় একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয় মাস্টারের ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. মনজুরুল কবীর মঙ্গলবার (৩০ জুন) সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো কে বলেন, আমি দুর্ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম ও পর্যবেক্ষন করে আসছি।
সিসি টিভির একটা ফুটেজও দেখেছি। যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অ্যানালাইসিস করার চেষ্টা করি। আপত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ওখানে (ময়ূর-২ লঞ্চ) মাস্টার ও অন্যান্য যারা কাজ করেছেন তাদের হিউম্যান ফেইলিওর। দুর্ঘটনার অবস্থায় ‘সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস’ ওই পা’র্টিকুলার পরিস্থিতিতে সে তার দায়িত্বটা হ্যান্ডেল করতে পারেনি, আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ময়ূরের মূল মাস্টার নয় একজন শিক্ষানবিশ মাস্টার চালাচ্ছিলেন বলে আমরা শুনেছি।আমাদের পক্ষে এই মুহূর্তে এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, তবে তদন্তে হয়তো পুরো বিষয়টি উঠে আসবে।