মোঃ আব্দুর রহিম বিশেষ প্রতিনিধি ভাঙ্গুড়া :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়ি। তিনি সদ্য ঢাকা ফেরত এক ইটভাটার শ্রমিক এবং পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ডের আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২৭ মে গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে পলায়ন করেন। কিন্তু ২৮ মে তারিখে পরীক্ষার ফলাফলে তার দেহে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়। পাশাপাশি এ উপজেলায় পূর্বের আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে ২জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৫ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাকা ফেরত ভাঙ্গুড়া পৌরসদরের ২নং ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রামের এক বাসিন্দার দেহের নমুনা পরীক্ষায় শেষে করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। সে ঢাকা ফেরত ইটভাটার শ্রমিক। তিনি গত ১৯মে তারিখে ঢাকা থেকে ভাঙ্গুড়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। তার দেহে হালকা জ্বর ও কাশি ছিল। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল খবর পেয়ে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ঢাকা-গাজিপুর ও নরায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেন। তার মধ্যে পালিয়ে যাওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিও ছিল। পাশাপাশি তাদের ফ্রি খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন তিনি। এমতোবস্থায় গত ২১ মে তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু ফলাফল আশার আগেই গত ২৭ মে গভীর রাতে ঐ ব্যক্তি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় রাখা হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুর তার শ্বশুরবাড়িতে চলে যায় । এদিকে ২৮ মে তারিখে তার পাঠানো নমুনার ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হালিমা খানম বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগী পালিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজন ,মানুষ নিজে নিজে যদি সচেতন না হয় তাহলে অবস্থা আরও অবনতি হবে বলেও জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।