নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সদর ভারুয়াখালী টু খুরুশকুল সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে এবং শুরুতে খোকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে তথ্য ভিত্তিতে জানা যায়, সেতু নির্মাণের জন্য , নির্মাণাধীন স্থানে পাইলিং জন্য বালি বোঝাই করা বলগেট/জাহাজ আসে। বালি আনলোড করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে শ্রমিক আসে গতকাল । ২৮শে নভেম্বর গেল রাত ১.৩০ দিকে আগত শ্রমিকদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে খোকনের সন্ত্রাসী বাহিনীর সরোয়ার এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সেতু নির্মিত স্থানে পৌঁছে। তখন সেখানে কন্টাকটারের নিয়োজিত লোক নেজামত আলি দায়িত্বরত উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীর গ্যাং লিডার খোকন সরাসরি নেজামত আলী কে নির্দেশ দিয়ে বলে শ্রমিকদের নিয়ে সেতু নির্মিত কর্মস্থল থেকে সরে যেতে এবং এইখানে সেতু নির্মাণের যত কাজ চলবে আমার নির্দেশে চলতে হবে। অন্যতায় এখানে কাজ করতে পারবেনা। ওই সময় পূর্ব থেকে অন্ধকারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে অবস্থান করছিল খোকন বাহিনী।
একপর্যায়ে নেজামত আলী ও খোকনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তখন খোকনের ভাই সরোয়ার উত্তেজিত হয়ে নেয়াজামত আলী কে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে ফায়ারকৃত গুলি ঢালাই মেশিন উপর পড়ে ,কৃত, ওখানকার শ্রমিক টিউবল মিস্ত্রি মোহাম্মদ মুসা নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয় ওই সময় সন্ত্রাসীরা লিডার খোকনের গায়ে হালকা লাগে বলে জানাযায়। তখন ঘটনাস্থলে হইচই শুরু হলে স্থানীয় লোকজন শুনতে পেয়ে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় এবং পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি কে স্থানীয়রা ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারুয়াখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানায়, গত ২৭ নভেম্বার ঠিকাদার সাথে দেখা করতে কুমিল্লা অবস্থান করছিল, ঘটনা বিষয় শুনে এলাকায় চলে আসে, তিনি এলাকার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে, এবং উপরের ঘটনা ঠিক ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়ে আরো বলেন ঐ সন্ত্রাসী বাহিনীরা পূর্ব হতে চাঁদা দাবী করে আসছিল। আমি এই বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করেছি এবং সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
CBALO/আপন ইসলাম