নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ার ধানগড়া সরদার পাড়ায় নারীর উপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মহল্লার মানিকের দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। আহত সিরাজগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোনালী (১৭) বর্তমানে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে দিয়ার ধানগড়া সরদার পাড়ার নাদিম মুন্সির স্ত্রী রুপা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার পাশের বাড়ির বাশির বউ মোমেনার সাথে পুত্রবধূর জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা। তার বাড়ির পাশেই আমি ভাড়া থাকি। রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে বাশির পুত্রবধূ ও চাচি বাশির বউকে মারতে যায়। আমি তখন সেখানে থাকায় বাশির পুত্রবধূ ও তার চাচিকে (জয়নালের বৌ) নিষেধ করেছিলাম বাশির বউকে না মারতে। এটাই আমাদের অপরাধ। পরে সন্ধ্যায় এসে সুফিয়া (বাসির পুত্রবধূর মা), চাচি (জয়নালের বৌ), দুই তিনটা ছেলেসহ কয়েকজন আমাকে বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি (রুপা) হুমকি দেবার কারণ জানতে চাইতে গেলে আমাকে বাশির পুত্রবধূ, তার চাচী, তার মা সহ আরও কয়েকজন আক্রমণ করে ও সম্মান হানির চেষ্টা করে।
এসময় আমার ছোট বোন সিরাজগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোনালী আমাকে বাচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তারা ছোট বোনের উপরে হামলা করে। তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তার ঠোঁট ফেটে যায় ও মাজায় কেটে যায়। যার রক্ত বেয়ে তার পা দিয়েও নামতে দেখা যায়। এসময় তারা সোনালীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে যাতে ভীষণ ভাবে জখম হয় বলেও অভিযোগ করেন রুপা। আমি এবিষয়ে মামলা করবো বলেও হাসপাতালে ছোটবোনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের জানান রুপা খাতুন। এবিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আর.এম.ও ডাঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি এখনো অবগত নই। বিষয়টি আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। এবিষয়ে কথা বলার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ফারুকী কে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
CBALO/আপন ইসলাম