রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

হেমনগর ডিগ্রী কলেজ তদন্তে প্রমানিত জাল সনদধারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
প্রশাসনিক তদন্তে জাল সনদের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বগুডার নেকটার কতৃপক্ষ গত বৃহসপতিবার এক পত্রে জাল সনদের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কলেজ গভর্নিংবডির সদস্য রওশন খান আইয়ুব জানান, ঘাটাইল উপজেলা কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার বিষয়ে সনদ নিয়ে (নং ২৮৯১, রেজি-২৯৩৭) ২০০৫ সালে প্রভাষক পদে যোগ দেন খাদেমুল ইসলাম। কিন্তু এর আগেই জাল সনদ সরবরাহের অভিযোগে বগুডার নট্রামস ঘাটাইল শাখা বাতিল করেন। আর বাতিল শাখার সনদ দিয়ে কৌশলে চাকরি নিয়ে এমপিও করান তিনি। গভর্নিং বডির অপর সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, কয়েকটি শূণ্য পদে নিয়োগে কোটি টাকা বানিজ্যের জন্য একজন সাবেক এমপির যোজসাজশে উপাধ্যক্ষ নুরুল ইসলামসহ ১২ সিনিয়রকে পাশ কাটিয়ে জুনিয়র লেকচারার খাদেমুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলে জাল সনদের বিষয়টি নজরে আসে।

 

গভর্নিং বডির অপর সদস্য এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, সকল সিনিয়রকে পাশ কাটিয়ে এমন মোস্ট জুনিয়রকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে যার সনদ পর্যন্ত জাল। তিনি প্রতিকার দাবি করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম জানান, তিনি জাল সনদে চাকরি নেননি। প্রথম সনদটি বগুডা নট্রামসের আওতাধীন ঘাটাইল শাখা থেকে নেয়া। সেটি সন্দেহ যুক্ত হওয়ায় পরে ২০০১ সালে বগুড়ার মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে নট্রামসের প্রকৃত সনদ সংগ্রহ করে চাকরি নেন। সনদ জালের অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা। তাকে হেয় করার জন্য প্রপাগান্ডা হচ্ছে। হেমনগর কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান,অভিযোগ অনুসন্ধানে ওই শিক্ষককে অফিসে তলব করলে তিনি বগুডার মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমির অপর একটি সনদ উপস্থাপন করেন। একই ব্যক্তির দুই রকম দুটি পৃথক সনদ দেখে বিভ্রান্তি নিরসনে যাচাইবাছাইয়ের জন্য তিনি গত ৬ অক্টোবর বগুডার নেকটার পরিচালক দপ্তরে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার নেকটারের যাচাইবাছাই প্রতিবেদন এসেছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, প্রথম সনদটি জাল।

 

আর দ্বিতীয় সনদটি ও নেকটার বা নট্রামস সরবরাহ করেনি; করেছে মিনা বহুভাষী এন্ড কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমী। এটির দায় এখন তাদের বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে ভিন্ন সুত্রে পাওয়া মিনা মাল্টিমিডিয়ার এক পৃথক প্রত্যয়ন পত্রে দ্বিতীয় সনদটি ও জাল বলে উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং জালসনদধারি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে হেমনগরবাসি ব্যানারে গত শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জালসনদধারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত নেয়ার দাবি জানানো হয়।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর