নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন,ধলিরছড়া বনবিটের আওতাধীন ভারুয়াখালীতে পাহাড় কাটা থামছেই না। প্রতিদিন অন্তত ১০/১৫টি পয়েন্টে নির্বিচারে পাহাড় সাবাড় করে ডাম্পার গাড়িতে করে মাটি নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতর এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে সচেতন মহলের অভিযোগ উঠেছে। সুযোগ পেয়ে পাহাড় খেকোরা দিনরাত সমানে শ্রমিক নিয়োগ করে দেদার কেটে সাবাড় , করছে অসংখ্য পাহাড়। সরজমিন, ভারুয়াখালীর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, যেখানে পাহাড় রয়েছে বেশিরভাগ গ্রামে চলছে পাহাড় কাটা। শুরুতেই দেখা যায়,ভারুয়াখালী আনুমিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে সুরত আলম নামে এক বাড়িতে ৮/১০ জন লোক দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে, গোপন তথ্য জানা যায় তার বাড়িতে বিট কর্মকর্তাও আসছিল ।
তারপরও থেমে নেই পাহাড় নিধন। একই ভাবে ননামিয়াপাড়া ,পাহাড়ার খেকো স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মৌঃ ইউনুচ এর নেতৃত্বে ওই স্থানে ১৫/২০ জন লোক দিয়ে মাসের পর মাস, দিন/রাত সমান তালে মাটি কেটে সাবাড় করছে। কিছুদিন পূর্বে ধলিরছড়া বনবিট অফিসার বশির আহমদ সরজমিনে গিয়েছিল বিট অফিসার পাহাড় কাটার দৃশ দেখেও, কেন নিরব স্থানীয়দের প্রশ্ন? ভারুয়াখালী সর্ববৃহৎ যে পাহাড় গুলো রইয়াছে তা বিলীন হওয়ার পথে। পশ্চিম পাড়া ইদুমিয়া পাহাড় ,সাবেক পাড়া, , স্কুলের পাহাড়, বানিয়াপাড়া ,বাজারের পাহাড় , করীর পাহাড় ও রস্যবার পাহাড় এছাড়া হাজিরপাড়া,নানা মিয়াপাড়া, ঘোনাপাড়া ,উল্টাখালী,চৌধুরীপাড়ার বিভিন্ন স্থানে আরো অনেক বড় বড় পাহাড় কাটার স্পটের দৃশ্য দেখা যায়।
এই বিষয়ে জনতে,মেহেরঘোনার রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনকে বারংবার কল দিলে মোবাইল রিসিভ না করাতে কথাবলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে কক্সবাজার বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ে কক্সবাজার বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণে করতে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
CBALO/আপন ইসলাম