কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ১নং রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদলের বিরুদ্ধে ৬৬ জন দুঃস্থ্য মহিলা নামের চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘নাম আছে-চাল নাই’এরকম ৬৬ জন মহিলার মধ্যে ৭ জন দুঃস্থ্য মহিলা ভি,জি,ডি’র চাল আতœসাতের অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্তের আবেদন করলে গত ৯ সেপ্টেম্বর/২০ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ মো: তারিকুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত সম্পূর্ন করেন। কিন্তু অদ্যবধি তদন্তের প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। প্রাপ্ত অভিযোগ পত্র এবং স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদলের নানামুখী অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য। ২০১৯-২০২০ চক্রের ভি,জি,ডি’র চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা ৬৬ জন দুস্থ মহিলার বিগত ২২ মাসে প্রায় ৪৩.৫৬ মে.টন চাল আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বাদল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তদন্তে অভিযোগকারীরা সাক্ষ্য প্রমাণ দিলেও রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরে আটকে আছে ঐ তদন্ত প্রতিবেদন। অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান বাদল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে প্রভাব বিস্তার করে তদন্ত প্রতিবেদনটিকে অন্ধকারে রেখেছেন।
পাশাপাশি অভিযোগকারীদের নানাভাবে হুমকি-ধামকী ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। রাজিবপুর ইউপি ২ নং ওয়ার্ডের লম্বাপাড়ার মৃত সোবাহান আলীর স্ত্রী শাহানাজ বেগম (কার্ড নং-৫৪৯)এ প্রতিনিধিকে জানায়, তালিকায় আমার নাম আছে কিন্তু আমি চাল পাই না। বাদল চেয়ারম্যান নিজের লোক দিয়ে আমার নামের কার্ডের চাল তুলে নিচ্ছে। প্রভাব বিস্তার করে তদন্ত প্রতিবেদনটিকে আটকে রেখেছে। একই অভিযোগ করেন লম্বাপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী জবেদা বেগম (কার্ড নং-৮০৫)। ৬ নং ওয়ার্ডের সিবেরডাঙ্গী গ্রামের আব্দুস সবুরের স্ত্রী (কার্ড নং-৯৪৬) নুরি খাতুন, ৬ নং ওয়ার্ডের বালিয়ামারী নয়াপাড়ার আ: রশিদের স্ত্রী (কার্ড নং -৪৯৭) রাশিদা খাতুন, ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রাজিরপুরের আলী হোসেনের স্ত্রী (কার্ড নং-৮০৯) শুকুরজান, ৪ নং ওয়ার্ডের কাছারি পাড়ার ইয়াকূব আলীর স্ত্রী (কার্ড নং -৭৪৯) কুলছুম বেগম সহ আরও অনেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্নসাতের অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রাজিবপুরের স্থানীয় সাংবাদিক এবং চর রাজিবপুর উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জেহাদী জানান, ৬৬ জন দুঃস্থ্য মহিলার নামে ভিজিডির চাল বাদল চেয়ারম্যান তুলে নিয়ে আত্নসাত করেছে। অভিযোগের তদন্ত হয়েছে কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। আমি খোজ নিয়ে জেনেছি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।
CBALO/আপন ইসলাম