রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

গৌরনদীতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্ত নির্মাণের অভিযোগ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণে স্থানীয়রা ও উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ বন্ধ করলেও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে নির্মান কাজ শুরু করেন সাব ঠিকাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মান্নান মৃধা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ ষ্টিমারঘাট থেকে হোসনাবাদ হাট পর্যন্ত ৬.৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তাটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিডিআরআইডিপি প্রকল্পের কর্মসুচির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কার্যাদেশ দেয়া হয়।

৬৪ লাখ টাকা ব্যায়ে এ রাস্তাটি নির্মানের দ্বায়িত্ব দেয়া হয় বরিশালের ছিকাদার মেসার্স মাদার ইঞ্জিনিয়ার এর মালিক আব্দুল রাজ্জাককে। কার্যাদেশ পেয়ে মাদার ইঞ্জিনিয়ার এর মালিক আব্দুল রাজ্জাক পরবর্তীতে সাব ঠিকাদার হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান মৃধার কাছে বিক্রি করে দেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেপ্টেম্বর মাসে মান্নান মৃধা ড্রাষ্ট খোয়াসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের শুরু থেকেই ২-৩ নম্বর ইট ও বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করে কাজ করায় স্থানীয়দের আপত্তি ও উপজেল প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বাঁধার মুখে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখে।

গতকাল বুধবার সকালে মান্নান আকন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক নিয়ে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে পুণরায় কাজ শুরু করেন। স্থানীয়রা তাতে বাঁধা দিলে তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাবার খবরে উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ বন্ধ করে দেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমান বলেন, সাব ঠিকাদার আ. মান্নান মৃধা নিন্ম সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ পুণরায় শুরু করায় আমি কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকাদারকে নোটিশ প্রদান করেছি। এর পরে কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগের ব্যপারে সাব ঠিকাদার উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মান্নান মৃধা মুঠো ফোনে বলেন, রাস্তার কাজের জন্য ব্যবহৃত খোয়ার মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ ড্রাস্ট খোয়া থাকতে পারে। তার পরেও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ. অহিদুর রহমান আমার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর