রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ঝালকাঠিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও তার স্বামীরে নেতৃত্বে ভাড়াটে দলবল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি শহরের প্রানকেন্দ্র কামারপট্টি সড়কে আদালতের চুড়ান্ত ডিগ্রি রায় পাওয়ার আগেই ঝালকাঠি সদর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও তার স্বামী দূদক কর্মকর্তার নেতৃত্বে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে অর্ধশত লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে এ দখল তৎপরতা চালানোর বিষয় ভূক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করলেও পুলিশ তা গ্রহন না করে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রোগ্রাম কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও তার স্বামী হাবিবুর রহমান মাঝি দখলরত জমির বিষয়ে তারা আদালতের রায় ডিগ্রি পেয়েছে বলে মৌখিক দাবী করলেও সাংবাদিক বা পুলিশের সামনে কোন রায়ের কপি দেখাতে পারেনি।
    জানাগেছে, শহরের গুরুত্বপূর্ন কামারপট্টি রোডের এ জমি নিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধ আনসার উদ্দিন খান ও মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারেজ আলী খানের সাথে তার আত্মীয় হাবিবুর রহমান মাঝির পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দেওয়ানী আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলে আসছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারিক আদালত ১ম সাব জজ পদ শূন্য থাকায় (অস্থায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত) ২য় সাব জজ আদালতের বিচারক সাইফুল আলম ‘বাদী হাবিবুর রহমান মাঝির পক্ষে ডিগ্রী মঞ্জুরের আদেশ ঘোষনা করেন। তাৎক্ষনিক ভাবেই উভয় পক্ষ উক্ত রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও আদালত বিচারকের পূর্নাঙ্গ রায়ের কপি কোন পক্ষকেই সরবরাহ করেনি বলে জানাগেছে। এ অবস্থায় রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার আগেই শুক্রবার সকাল থেকে উক্ত দুই সরকারী কর্মকর্তা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে কাজ শুরু করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও সরকারী চাকুরীজীবী দম্পতি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
    এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রোগ্রাম কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও তার স্বামী হাবিবুর রহমান মাঝি দাবী করেন, তাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে কয়েক দশক ধরে মামলা চলার পর সম্প্রতি তাদের পক্ষে রায় হয়েছে। তাই তাদের বৈধ সম্পত্তিতে তারা পরিবারের সদস্যরা ও কিছু আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত হয়ে সীমানা দিয়ে বেড়া দিচ্ছেন। তাদের কাছে আদালতের রায়ের কপি রয়েছে সেটা প্রয়োজন হলে প্রশাসনকে দেখাবেন। তারা স্বামী স্ত্রী ও তাদেরদেবর সবাই সরকারী চাকুরী করেন তাই শুক্র-শনি ছুটির ২ দিন কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ করাহচ্ছে বলে তারা জানান।
   অন্যদিকে ভূক্তোভুগী মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেজ আলী খান অভিযোগ করেন, আসলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে অফিস-আদালত বন্ধের ফাকে তারা অবৈধ ভাবে সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে এদখল কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সাপ্তাহিক বন্ধের সুযোগে অর্ধশত ভাড়াটে লোকজন নিয়ে নিয়ে তারা আমার সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে গায়ের বলে দিনরাত দখল তৎপরতা চালাচ্ছে, তবে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসাবে রবিবার আদালত খুললেই আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।
CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর