ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে বরাদ্দ ১০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উধাও হবার ঘটনা ঘটেছে। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের প্রচুর সারের চাহিদা থাকায় এ সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সার ডিলার কাজী শাখাওয়াত হোসেন নির্দিষ্ট গুদামে না উঠিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সার ডিলার শাখাওয়াত হোসেন লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে সার উত্তোলনের বিষয়টি অবগত করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন গত ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ ৫৬৯৩১ নম্বর চালানে বরিশাল বিএডিসি গুদাম হতে অক্টোবরের বরাদ্দ পাওয়া ১০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার তার গুদামে উত্তোলন করেন। যাহা তদন্ত সাপেক্ষে বিক্রির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে ঐ চিঠিতে। কিন্তু গাভারামচন্দ্রপুর ইউনয়নের ভাড়া করা গুদামের মালিক কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার গুদামে অক্টোবর মাসের বরাদ্দ কোন সার ডিলার উঠায়নি।
তিনি আরো জানান, তাকে ডিলার শাখাওয়াত জানিয়েছে আগামী শনিবার সার গুদামে উঠানো হতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ডিলারের গুদামে সার না উঠিয়ে কিভাবে বিক্রির অনুমতি চাওয়া হলো। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে ডিলার শাখাওয়াত হোসেন তার ০১৭১৪৪১৫৬২৩ নম্বরের মোবাইলটি বন্ধ করে রাখায় কোন বক্তব্য জানাযায়নি। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিফাত সিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হয় গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডিলার অক্টোবর মাসের বরাদ্দ সার উত্তোলনের চিঠি দিয়েছে কিনা। তিনি প্রথমে নামাজে দাড়িয়েছেন পরে আবার ফোন করা হলে বলেন লান্স করছেন। তবে সার গুদামে উত্তোলনের চিঠি ডিলার জমা দিয়েছেন বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি কৃষি সম্পসারণ বিভাগের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের অক্টোবরের বরাদ্দ সার ডিলার উত্তোলন করলেও গুদামে উঠায়নি বলে শুনেছি। তাই ইতিমধ্যেই আমি উপজেল কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি।
CBALO/আপন ইসলাম