রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ঠাকুরগাঁওয়ে  শামীমের অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী 

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামের স্কুল কলেজ পড়য়া কিশোরী ও গৃহবধূদের আতংকের আরেক নাম শামীম হোসেন। তার কারণে মেয়েরা ঠিকমতো যেমন স্কুলে যেতে পারে না, তেমনি নিজ বাড়িতেও নিরাপদে থাকতে পারেন না গৃহবধূরা।রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষন করা ও ব্যর্থ হয়ে অনিষ্ঠ করা ওই যুবকের নিত্যদিনের কাজ।
শামীম হোসেন (২৫) ঠাকুরগাঁও সদর  উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাপাতি গ্রামের মির্জাদ আলীর ছেলে ।সে চাপাতি গ্রামের আতংকের এক মূর্তপ্রতীক।গ্রামের এমন কোন মেয়ে বা নারী নেই যাকে সে কু প্রস্তাব দেয়নি।এলাকার মেম্বারের স্ত্রী  বা চাকুরির সুবাদে বাইরে থাকে এমন কোন ব্যক্তির স্ত্রী কন্যাও তার লোলুপ দৃষ্টি হতে বাদ পড়েনি।তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মারপিটের শিকার হয়েছে এমন অসংখ্য অভিযোগ তার  বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,তার কারণে বাড়িতে ও ক্ষেত খামারে কোথাও নিরাপদ নয়  চাপাতি গ্রামের মেয়েরা ।তার লোলুপ প্রস্তাব হতে বাদ পড়েনি চাচাত ভাবীরাও।
তার কু’প্রস্তাবে রাজী না হলে ওই নারীর গরু ছাগল ধরে দূরবর্তী খোয়াড়ে দেয়।কাউকে মিথ্যা অজুহাতে মারপিট করে জখম করে হাসপাতালে পাঠায় ।গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সে ওই গ্রামের একজন দিনমজুরের স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে রাস্তা থেকে  মুখ চেপে ধরে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওরনা দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।মেয়েটি বাঁধা দিলে  সে লাঠি দিয়ে মেয়েটির মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও দীর্ঘ একমাসেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।এদিকে গত সোমবার শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৫ শতাধিক নারী পুরুষ শিশু সদর উপজেলার রুহিয়ায়  বিক্ষোভ করে তাকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানায়।
জীবন শুরু হওয়ার পরপরই ইতোমধ্যে দুটি বিয়ে করেছেন।প্রথম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেও ১০ মাসের বেশি সংসার টিকেনি।পরে শরিফ হোসেন নামে আরও এক ব্যক্তির মেয়েকে নিয়ে গিয়ে জোরপূবর্ক বিয়ে করে।
এরপূর্বে ২০১৬ সালে সে সদর উপজেলার সালন্দর এলাকায় থেকে লেখাপড়া কালে ছোটবোনের সাথে প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় নোভা হোসেন সেলিম নামে এক বন্ধুকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ ট্রাংকে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং টাঙ্গন নদীতে ফেলে দেয়।পরে ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়ে অপকর্মে লিপ্ত হয়।
CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর