সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ার ভরসার আরেক নাম ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১৮ মে, ২০২০, ৯:১৫ অপরাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:

চলমান সময়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে অনেকেই যখন করোনার ভয়ে সচেষ্ট না-হয়ে ঢিলেঢালা কর্মকান্ডে সময় যাপন করছেন। কেউ বা আবার উদ্যোগ নিচ্ছেন লোক দেখানো। ঠিক সেই সময়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না-করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান নিরলসভাবে রাতদিন ছুটে চলেছেন দিগ্বিদিক।

উপজেলার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন সচেতনতা আর উপজেলার অসহায় হতদরিদ্রদের খাদ্য উপহার। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গুড়ার ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান তাঁর ওপর অর্পিত সরকারি দায়িত্বের চেয়েও বেশি দায়িত্ব নিয়েই এই উপজেলাবাসীর পাশে আছেন বলেও অনেকেই মনে করছেন। নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষের পাশে থাকতে তিনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন বলেও মনে করছেন উপজেলাবাসী।

যেখানেই সমস্যা সেখানেই ছুটে চলছেন তিনি। তার এই ছুটে চলাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১৬-০৫-২০১৯ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়ণে প্রত্যক্ষ উপস্থিতির স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অবিরাম।জানা গেছে, পুরো বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করা মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু হতে অদ্যবধি তাঁর নিরলস আর সচেষ্ট কর্মকান্ডে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি বহু আগেই।

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সমবেত হওয়া সাধারণ মানুষদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, জনসচেতনতা তৈরি করতে উপজেলার পাড়া ও মহল্লায় রেখে চলেছেন প্রত্যক্ষ উপস্থিতি। উপজেলার দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন সরকারি সহায়তা। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। এই সচেষ্ট পদক্ষেপের কারণে পাবনা জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় ভাঙ্গুড়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেহাতই কম। উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলেও মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।

উপজেলায় কয়েকজন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় সরকারের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সেসময় আরও কঠিন পদক্ষেপ হাতে তুলে নেন তিনি। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন। উপজেলার পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মত বিনিময় ও দিকনির্দেশনা মুলক সভা করে উপজেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে চলেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান।উপজেলার সর্ব সাধারণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল নিশ্চিত করণ, বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও দুস্থ মানুষদের খোঁজ খবর রাখছেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো ছাড়াও ওই এলাকায় লকডাউন চলাকালে নিজ দায়িত্বে এলাকাগুলোর অসহায় ও দুস্থ মানুষদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে তিনি যতেষ্ঠ ভুমিকা রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

চলমান মাহে রমজানে উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলো সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর মাধ্যমে নিত্যপণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ, ফরমালিনযুক্ত ফল ধ্বংস করণ, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন দোকানপাটে লোকসমাগম ঠেকাতে নানারকম ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না-মেনে দোকান-পাট খোলা রাখায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অনেককে শাস্তি ও জরিমানার আওতায় আনেন তিনি।এভাবেই ভাঙ্গুড়া উপজেলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর