রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ঠাকুরগাঁওয়ে ইট ভাটা হওয়াই কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১০ অপরাহ্ণ

মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলার হাট ইউনিয়নে বড়দেশ্বরীতে কে এম ব্রিক্স এন্ড কে এস ব্রিক্স এলাকার আশে পাশের কৃষি জমিসহ করলা, লাউ, বেগুন সহ বিভিন্ন কৃষি মাট পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মনজুর আলম সরকার।জানা যায়, বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী এবং ওই এলাকার ৬০ জন কৃষক কতৃক স্বাক্ষরিত কৃষি জমিতে পরিবেশ ক্ষতিকর ইট ভাটা উচ্ছেদ করার জন্য গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেন।

 

তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সরোজমিন পরিদর্শনে আসেন এবং স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকদের কাছ থেকে ইট ভাটার কারণে কি কি ¶তি হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন লিখিত আকারে নোট করে নেন। পরিশেষে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষকদের মাঝে বলেন, আজকে আমি কৃষি মন্ত্রনালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর নির্দেশ ক্রমে সরোজমিনে পরিদর্শন করতে এসে আপনাদের বক্তব্যগুলো লিখিত আকারে কৃষি মন্ত্রনালয়ে দাখিল করবো।স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ইট ভাটা স্থাপনের আগে আমার মাটিতে ২৫/৩০ মন করলা হত।

 

কিন্তু এখন ইট ভাটা স্থাপনের ফলে ৮/১০ মন করলা হয়। এ ছাড়াও অন্যান্য ফসলেরও ¶তি হয়। বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই ভাটার কারনে এলাকার আম, লিচু, কুল, কাঠাল এর ফুল ঝরে যায় ফলন হয় না। যেখানে বাগান হতে ৪/৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যেত সেখানে এখন অর্ধেকও পাওয়া যায় না। ভাটার পাশে প্রায় ২শত একর জমিতে লাউ, করলা, বেগুন, শশা, চিচিংগা, কুমড়া সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ হয়। তিনি আরো বলেন, আমার চা বাগানেরও ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কারনে আমার জমির উর্বরাশক্তি কমে গেছে। আমাদের একটাই দাবী ভাটাটিকে এখান থেকে উচ্ছেদ করা হোক।পরিদর্শনের সময় অন্যাদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসার সুভোদ চন্দ্র রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, ২১ নং ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হামিদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক এবং বঙ্গবন্ধু পদক প্রাপ্ত পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক গন।

তদন্তের সময় ইট ভাটার মালিক মোশারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। তার বড় ভাই সলেমান আলী উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মনজুর আলম সরকার সলেমান আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি লিখিত বা মৌখিক কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর