মাসুদ রানা আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়ায় হাপানিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নুরুজ্জামান, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাক্ত জখম করা হয়েছে। এদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের আলহাজ মোবাররক হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান নিজ মালিকানাধীন লিচু বাগান মিলন হোসেন নাম এক ব্যক্তির কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রয় করেন।
এসময় ওই দিন সকাল ৯টার সময় ক্ষেত থেকে শশা তুলে বাড়ী ফেরার পথে হাপানিয়া বড় মসজিদের নিকট মোটর সাইকেল যোগে আসা মাত্রইপূর্ব আবুল কাসেম খান, নুর মোহাম্মদ, মো: রায়হান, সোহেল রানা, সোহাগ খান, আব্দুর রাজ্জাক, জনাব আলী, আমিজাল হোসেন, রিপন, শরিফ পরিকল্পিতভাবে
নুরজ্জামানকে বেধরক লাঠিশোঠা ও ধারালো অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারপিট করে মারাক্ত জখম করে। মোটর সাইকেলে সাইডের বক্্ের লিচু বিক্রয় করা ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং নুরুজ্জামানের মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।
এসময় নুরুজ্জামানের চিৎকারে আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন এগিয়ে আসলে তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীরের বুকে ও পেটে কোপ দিয়ে জখম করে। নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে ডান হাতের আঙ্গুল কেটে গুরুতর জখম হয়।
নুরুজ্জামান জানান, আমি লিচু বাগান বিক্রয় করেছি জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে কাসেম খান, নুর মোহাম্মদ গং চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে আমি অস্বীকার করলে এসময় কাসেম খান, নুর মোহাম্মদ গং মসজিদের সামনে আমার চলার পথ গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত করে। এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে মোটর সাইকেলের সাইড বক্্ের থাকা ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বের করে নেয়।