চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকানপাঠ খোলা যাবে সরকারিভাবে এমন ঘোষণার পর থেকেই ভাঙ্গুড়ার হাটবাজারে জন সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে।বেশিরভাগ কাপড়ের দোকান সহ অন্যান্য দোকান গুলোতে ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছু নেইে।
এরই মধ্যে ভাঙ্গুড়ায় ৪ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে।তবুও কেহ মানছেনা সামাজিক দূরত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) উপজেলার বাজার গুলোর বিভিন্ন শপিংমল ও কাপড়ের বড় বড় দোকান ঘুরে বেলা ১১টার দিকে দেখাযায় কোন দোকানেই সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে। এ চিত্র শুধুমাত্র একটি দোকানেই নয়, বাজারের প্রায় সব দোকানেই ঠিক একই ধরনের চিত্র দেখা যায়। সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান বা শপিংমল খোলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ে দূরত্ব না মেনে ভাঙ্গুড়ার বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়।
মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনাকাটা। সেনাবাহিনীর গাড়ি বা ম্যাজিস্ট্রেট আসছে শোনা মাত্র দোকান বন্ধ করা হয়। কিছু সময় পরে সেনাবাহিনীর গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করা মাত্র আবার খোলা হয়। দোকানীরা কিছুতেই করোনা বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে বাজারগুলো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, মহামারী এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন কেনাবেচা করা হয় সেজন্য প্রতিদিন বাজারগুলোতে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।থানা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনে প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন,ইতিমধ্যেই বাজারের সকল দোকান মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সবাইকে সামাজিক গুরুত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করার জন্য।এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রচার-প্রচারণা চলছে ।