পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সঠিক নির্দেশনায় এবং কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে প্রথমে নুর মুহাম্মদ
২০শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী হিসেবে মুরাসাকি এবং ওয়াকিনেওয়া জাতের মিষ্টি আলু আবাদ করে সফল হয়েছেন।
এতে তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এই জমিতে তিনি মিষ্টি আলু আবাদ করে প্রায় ৪৫ মণ ফলন হয়েছে।
এই প্রদর্শনী থেকে নুর মুহাম্মদ উৎপাদিত মিষ্টি আলু হতে নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন
এবং এই আলুর ভাইন কাটিং হিসেবে তিনি পরবর্তীতে তার আশেপাশের উপজেলা ও জেলার কৃষকদের নিকট বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।
যা এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই ২০ শতক জমি থেকে তিনি প্রায় ৮০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
খরচ বাদে তিনি ৫৫ হাজার টাকা লাভবান হয়ে তিনি পরবর্তীতে আরো ৪০ শতক জমিতে নিজ উদ্যোগে নতুন করে মিষ্টি আলু আবাদ শুরু করেছেন।
কৃষক নুর মুহাম্মদ বলেন, আমার মিষ্টি আলুর আবাদ দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকেরা তাদের জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছে যার ফলে এলাকার আরো নতুন নতুন জমি মিষ্টি আলু চাষের আওতায় আসছে।
এছাড়াও আমি নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশে ১৫ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের গাছ আলুর আবাদ করে যা থেকে বীজ উৎপাদন করে এবং অন্যান্য কৃষকদের নিকট এই বীজ বিক্রি করেন যা ইতিমধ্যে এলাকায় মিষ্টি আলু ও গাছ আলুর একজন সুপরিচিত বীজ ব্যবসায়ী হিসেবে আমি ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছি।
আমি একজন নার্সারীর মালিক হিসেবে বর্তমানে তার নিজস্ব জায়গায় ফল ও ঔষধী গাছের নার্সারী স্থাপন করেছেন।
ভবিষ্যতে আমি এই নার্সারীকে আরো বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে চাই এবং একজন বীজ উৎপাদক ও ব্যবসায়ী হিসেবে আরো বড় পরিসরে যেতে চাই।
এলাকার অপরাপর চাষিরা জানান, মিষ্টি আলু আগের যুগ থেকেই এ এলাকায় জনপ্রিয়। এ এলাকার মিষ্টি আলু দেশের বিভিন্ন মোকামে আমদানি করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ বলেন, কয়েকটি জাতের মিষ্টি আলু উপজেলার ৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করছে। ইতিমধ্যে চাষিরা হাটবাজারে বিক্রি করছে।
আবহাওয়া চাষিদের অনুকূলে থাকায় ফলন অনেকটাই ভালো হয়েছে। তাছাড়াও বাজারে মিষ্টি আলুর চাহিদা প্রচুর।