শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতিই উন্নতি করতে পারে না। মানব সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের ক্রমবিকাশের জন্য স্কুলে রয়েছে শিক্ষা। সভ্যতার প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কালের বিবর্তনে আধুনিক পর্যায় এসে পৌঁছেছে। তবে বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রয়োজন, সমাজ কাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা রক্ষা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে উন্নয়নের প্রধান ও একমাত্র ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। জনসংখ্যাকে দক্ষ ও গতিশীল করার একমাত্র উপায় হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক স্তর পার না করলে কোন স্তরে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। গুণগত মান অর্জনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার সু-ব্যবস্থা করা আজ যুগের দাবি।
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দক্ষ জনবল, অবকাঠামো ও দারিদ্র জনগোষ্ঠি ইত্যাদির প্রতি নজর দেয়া আবশ্যক। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ঝড়ে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় আনতে জোড়দার করতে হবে। জীবনমুখী ও বাস্তবমুখী শিক্ষার গুরুত্ব প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু করতে হবে । বাস্তবমুখী ও টেকসই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে। তবেই বেকারত্ব দূরীভূত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সমাপনী পরীক্ষা পুনরায় চালু করা একটি যুগপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বৃদ্ধ করতে ও মেধা যাচাই করার লক্ষে চালু বকরতে হবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। এতে করে প্রতিযোগীতা মুলক পড়াশোনার চাহিদা বাড়বে। সর্বপরি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে প্রাথমিক শিক্ষার মান দ্রুত উন্নয়ন কারা সম্ভব বলে আমি মনে করি ।
লেখক
সুলতানা রাজিয়া
সহকারী শিক্ষক বীরগঞ্জ মডেল সপ্রাবি
বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।