নিজকে চাকু মেরে
করলে তুমি ক্ষতি
কেমনে হবে এ সম্প্রদায়
মহান পেশায় ব্রতী !
৫ অক্টোবর । বিশ্ব শিক্ষক দিবস। অত্যন্ত ঘটা করে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে । এ লক্ষ্য জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম নির্মাতা সন্মানিত শিক্ষক সম্প্রদায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। বিশেষ করে প্রিয় জন্মভূমি উর্বর পলিমাটি ঘেরা বাংলাদেশে। যেখানে প্রিয় স্বদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। মানুষের জীবন মান, অবকাঠামোগত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সহ নানাদিক দিয়ে উন্নয়ন সাধিত হলেও যাদেঁর হাত ধরে আগামী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে ভুমিকা পালন কারী শিক্ষক সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ভগ্নদশা অত্যন্ত চরমে পৌছেছে। প্রাথমিক থেকে মহাবিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষক সম্প্রদায়ের জীবন মান পাশ্চাত্য দেশ থেকে অত্যন্ত পিছিয়ে। অথচ যাদেঁর ঘামে জাতি ফিরে পায় একটি শক্তিশালী রাস্ট্র, যাদেঁর ঘামে বাংলার সোনার ছেলেরা বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তি, কৃষি চিকিৎসা সহ নানা দিক দিয়ে দিন দিন নান্দনিকতার পরিচয় দিলে ও প্রিয় স্বদেশে এ সমাজের মান অত্যন্ত নিন্মগামী। ফলে এ পেশাতে বেকারত্বের কারণে হয়তো মেধার প্রবেশ ঘটলেও বাস্তবতার নিরিখে এদেঁর নিকট পেশাকে স্বাচ্ছন্দ্যে ও আকর্ষণীয় করতে রাস্ট্র যন্ত্র অনেকাংশে নিস্ক্রিয় বলা যায়। ফলে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর থেকে বহুলাংশে ব্রেইন ড্রেইন অর্থাৎ মেধা পাচার হচ্ছে। আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে কর্মসংস্থানের অভাবে অফিসিয়াল অন্যান্য পদে নিয়োজিত হচ্ছে। কিন্তু মহান শিক্ষকতার পেশা শিক্ষকতা থেকে পিছু হটছে। স্বাধীনতার পর থেকে সন্মানিত শিক্ষক সম্প্রদায় বেঁচে থাকার মতো সন্মান টুকু নিয়ে টিকে থাকার জন্য বারংবার কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আশ্রয় নিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিনিময়ে জুটছে শুধু লাঞ্জনা গঞ্জনা ও মিথ্যার ফুলঝুরি ।এতে জাতির ভিত ক্রমশ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। এক শ্রেণির আমলা এ পেশায় নিয়োজিত শ্রমকে দাসত্ব বানিয়ে ফায়দা লুঠতে তারা সু কৌশলে বানচাল করে যাচ্ছে আন্দোলন সহ নানা কর্মসূচি। অথচ আই এম এফ, ওয়ার্ল্ড ব্যংক, জাইকা সহ বিভিন্ন এজেন্সি গুলো শুধু অবকাঠামো গত উন্নয়ন নয় শিক্ষকের জীবন মান উন্নয়ন কল্পে বিভিন্ন প্রেসক্রিপশন দিলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। যাদের হাতে পড়াশোনার তালিম নিয়ে ক্যাডার বনেন, অবশেষে সেই ক্যাডারদের হাতে নানা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন এ মহানপেশার সন্মানিত শিক্ষক সম্প্রদায়। আজকে দৃশ্যপট পরিবর্তনে জাতির সামনে অর্থনৈতিক ভয়াবহ লোপাটের চিত্র ফুটে উঠছে। সামান্য চাপরাশি করনিক কিংবা অষ্টম শ্রেণি পাশ ড্রাইভাররা শতশত কোটি টাকার কিভাবে মালিক বনেছে। এ প্রিয় স্বাধীন রাষ্ট্রে কীভাবে আবেদ আলীদের হাতে বিসিএস কর্মকর্তা জন্ম নিয়েছে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার ভরি আচমকা লকাপ থেকে উধাও হয়েছে। নিশ্চয় এসবের সাথে সন্মানিত শিক্ষক সম্প্রদায় জড়িত নয়।
আজকাল প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত জাতির সেবকরা নুন্যতম দাবি আদায়ের জন্য রোধ বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় মানববন্ধন স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে । শতশত কোটি টাকার মালিক হওয়ার জন্য নয় পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে টিকে থাকার মতো। দুর্নীতি গ্রস্থ থেকে দুর্নীতি মুক্ত গড়ার অঙিকার এখন প্রতিটি নাগরিকের। শিক্ষা সংস্কারের বিকল্প নেই। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের সংস্কার হলে অর্থনৈতিক মুক্তি অবশ্যম্ভাবী। এ থেকে জাতি পরিত্রাণ চায়। নাম মাত্র বাড়ি ভাড়া, বোনাস দিয়ে নয় ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থার মতো উন্নতি সাধিত করতে হলে শিক্ষকদের জীবন মানের উন্নতি সময়ের দাবী। নইলে অপুষ্টি হীনতায় ভুগবে শিক্ষা ও শিক্ষক সম্প্রদায়। পুলিশের জীবন মান বৃদ্ধি কল্পে ঝুঁকি ভাতা রেশন ভাতা সহ আনুষঙ্গিক পরিবর্তন আসলে ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে ভুমিকা নিছক শূন্য। ফলে চরম ভাবে মা’র খাচ্ছে প্রিয় জাতি। আসছে ৫ অক্টোবর। একটা আর্দশ জাতি গঠনে শিক্ষকদের জীবন মান নিয়ে আন্তরিকতার সাথে এগুনো সময়ের দাবী। এ লক্ষ্য এ সরকার ব্যয় না ভেবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে উত্তরণ পুর্বক যথাযথ বিনিয়োগ করে কাং্খিত মানে শিক্ষক সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই সকলের প্রত্যাশা । আর শিক্ষক সম্প্রদায় রাজপথ বেছে নিতে চায়না, আর টি আর শেল রাবার বুলেট চায়না। মিলিনিয়াম ডিভিলাপমেন্ট গোল ( এম ডি জি) বাস্তবায়নের পর মানুষ খোলা আকাশের নিচে মল ত্যাগ বন্ধ হয়েছে, যারা আশ্রয় হারা ছিলো তাদের বসবাস কল্পে আশ্রয়স্থল হিসাবে আশ্রয়ণ প্রকল্প হলেও শিক্ষকদের ভাগ্যে উন্নয়নের বিন্দু মাত্র উন্নয়ন স্পর্শ করেনি এবার এস ডিজি বাস্তবায়নের পথে প্রিয় স্বদেশ। এ আঙিকে জাতির আধমরাদের ভাগ্যে অন্তত বেঁচে থাকার অভিপ্রায়ের অবলম্বনটুকু এ শিক্ষক দিবসে মান্যবর উপদেষ্টাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হউক এগিয়ে যাক তবেই জাতির ভবিষ্যৎ সমুজ্জ্বল থাকবে।
মাহবুবুর রহমান বাবুল
সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি )