বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি-জামায়াত। ২৮ (অক্টোবর) ২০২৩ বিএনপির মহা সমাবেশ। বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,সংবাদ সম্মেলন করে গোটা জাতি কে জানিয়ে দেয়,আগেও শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করেছি ২৮ তারিখ ও শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ হবে। বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করবার পরপর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করে বলেন,২৮ তারিখ আমাদের শান্তি সমাবেশ। পরপর সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে জামায়াত ও ২৮ তারিখ মহাসমাবেশ করবে কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সাফ সাফ জানানো হয়, জামায়াত কে মহাসমাবেশের কোন অনুমতি দেওয়া হবে না এবং ক্ষমতাশীলদের পক্ষ থেকে বার বার হুশিয়ারি বার্তা আসতে থাকে, বিএনপি জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করতে পারে। সেটা ঠেকাতে আওয়ামীলীগ শান্তি সমাবেশ কে কেন্দ্র করে মাঠে থাকবে। ২ দলের এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। দেশ কি আবার অশান্তির দিকে হাঁটছে? এমনি তে নিত্য পণ্য দ্রব্য থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম ভূমিহীন গরীব মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ের নাগাল থেকে অনেক বাহিরে, এর পর এই হিংস্রতার রাজনীতি আবার কি সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ অথবা প্রাণ কেড়ে নিবে? সরকার যানবাহন বন্ধ করতে পারে এই আশঙ্কয় বিএনপি নেতাকর্মী তিন চার দিন আগে থেকে এসে ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করে। আবার কেউ কেউ নয়া পল্টন পিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। শত জল্পনা কল্পনা শেষে কাঙ্খিত সময় আসতে না আসতে বিএনপি নেতাকর্মী ঢাকায় ভিমরুলের মত ঢুকতে মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাধা। সেই বাধা ভাঙতে গিয়ে কয়েক জায়গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মী। শত বাধা ভেঙে পল্টন এবং নয়া পল্টন,ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলিস্থান, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয় নগর ,দৈনিক বাংলার মোড়,রাজারবাগ লোকে লোকালয়। হঠাৎ করে জামায়াতের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী সকাল নয়টা দশটা দিকে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করতে এলে পুলিশ আনসার, র্যাব,বিজিবি র বাধার মুখে পড়ে। সেই বাধা ভেঙ্গে মতিঝিল আরামবাগ তাদের দখলে নেয় । সেখানে তাদের নেতাকর্মী মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যে জড় হতে থাকে। ২৭ তারিখ থেকে ঢাকা শহর থমথমে অবস্থায় ছিল। যত সময় যায় তত ঢাকা আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে থাকে। সকাল ১১ থেকে ১২ মধ্যে পল্টন নয়া পল্টন সহ শনিবার রাজধানীর কয়েকটি স্থানে (আওয়ামী লীগ-বিএনপি-পুলিশ) ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সেখানকার অবস্থা রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয় হাজারের বেশি,পুলিশের গুলিতে মারা যায় একজন যুবদলের নেতা শামীম মোল্যা, পুলিশ ও আনসার সদস্য ৭৯ জন আহত হয় এবং মারা যায় একজন পুলিশ সদস্য আমিরুল পারভেজ। ২৮ তারিখের এই ভয়াবহ দৃশ্যের সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় বহু নিযুক্ত দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী। দুঃখের বিষয় তাদের ও বিএনপি ও আওয়ামীলীগের হামলার শিকার হতে হয় । সেই হামলায় ৩০ জনের বেশি কর্মরত সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। তাদের কে বিভিন্ন হসপিটালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসারত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে।