শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ঈশ্বরদীতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবকে গণসংবর্ধনা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪, ৪:০২ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের মুক্তমঞ্চে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বক্তব্য বলেন, সরকার একদলীয় শাসন এবং দখলদারিত্ব পাকাপোক্ত করতে বেনজীর-আজিজকে তৈরি করেছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায় এই সরকার। এই সরকার যে জনগণের ওপর ভয়াবহ দমননীতি চালিয়েছে সেটা আজ সর্বজনস্বীকৃত। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে. এম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুল রহমান বাবু, নুর মাসুম বগা, সদস্য সচিব ও এ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, পাবনা জেলা আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক মাহমুদন্নবী স্বপন, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা হাসিবুর রহমান হাক্কে মন্ডল, সুলভ মালিথা, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রকি, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমন, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন, যুবনেতা আতিয়ার রহমান, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, সোহেল, রানা, সুমন মালিথাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী এই গণসংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আজ আওয়ামী লীগ বেনজীর-আজিজদের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নিচ্ছে না। কিন্তু বেনজীরকে ঠিকই বিদেশে পালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এই সরকার। রাতের অন্ধকারে ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন কারা করেছে? এই বেনজীর-আজিজ করেছে। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরো বলেন, আগে কমপক্ষে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটা নৈতিকতার জায়গা থাকতো। কারণ তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ হয়, সবকিছু হয়। কিন্তু এই আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর প্রধান হন কী করে? এটাই তো বিস্ময়কর ব্যাপার। বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে কত ধমক ও হুমকি দিয়েছেন এই বেনজীর। তিনি তখন পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-অস্ত্র দেওয়া হয়েছে আপনাদেরকে কী হা-ডুডু খেলার জন্য। যদি ন্যূনতম মানবতাবোধ থাকতো, আইনের শাসন থাকতো-তাহলে সেই দিনই তো বেনজীর আহমেদকে গ্রেফতার করা হতো। তিনি প্রকাশ্যে এই দেশের নাগরিক ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন । তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ অবৈধ ক্ষমতার তারা ছিল রক্ষক। আর এই রক্ষক হতে গিয়ে তারা কতো মায়ের বুক খালি করেছে তা বলে বোঝানো যাবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর