নাটোরের সিংড়ায় নবীন আলী নামে ১২ বছরের এক শিশুকে মারধরের দায়ে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত জানার পর শুক্রবার (৩ মে) সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা তাকে বরখাস্ত করেন।
নির্যাতনের শিকার নবীন সিংড়া পৌরসভার নিংগইন এলাকার আবদুস সালাম ও আশেদা বেগম দম্পতির ছেলে। সে নিংগইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত রাসেল সরদার রুবেল একই এলাকার বাসিন্দা।
নবীন আলীর মা আশেদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নবীন দোকান থেকে হাতে টর্চলাইট নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় মাথায় করে ধান নিয়ে যাওয়া শ্রমিকরা পথ চলার সুবিধার্থে নবীনকে টর্চের আলো জ্বালাতে বলে। নবীন আলো জ্বালালে তার সামনে থাকা রাসেলের চোখে পড়ে। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাসেল নবীনকে কিল-ঘুসি, চড়-লাথি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আশেদা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় আশেদা বেগম থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি বেশি বাড়াবাড়ি করলে রাসেল তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন বলে দাবি করেন আশেদা বেগম। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাসেল সরদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত রাসেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিংড়া থানার ওসি আবুল কালামকে রাসেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউএনও আরও জানান, রাসেলকে করোনাকালে অতিরিক্ত মাস্টাররোলে অনেকটা মজুরিভিত্তিক শর্তে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। তার কৃতর্কমের কোনোরুপ দায় উপজেলা প্রশাসন বহন করবে না।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন।