মানুষ ব্যস্ত—ক্ষমতা, খ্যাতি আর দুনিয়ার হিসাব নিয়ে। কিন্তু এমন এক দিন আসবে, যেদিন কোনো পরিচয় কাজ করবে না, কোনো নামও নয়। সেদিন শুধু আমল কথা বলবে। সেই দিনের নাম—মৃত্যু-পরবর্তী জবাবদিহি।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।”
(সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
আজ আমরা জীবিত মানুষকে নিয়েই আলোচনা করি, গুজব ছড়াই, অনুমানকে সত্য বানাই। অথচ ইসলাম আমাদের শেখায় দায়িত্বশীল কথা বলা। কারো জীবন-মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত জ্ঞান ছাড়া কথা বলা শুধু অনৈতিকই নয়, গুনাহের কাজও বটে। আল্লাহ বলেন,
“যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, তার পেছনে লেগো না।”
(সুরা বনি ইসরাইল: ৩৬)
মৃত্যু হঠাৎ আসে, কোনো ঘোষণা দিয়ে নয়। রাজা-বাদশাহ, নেতা-জনতা—সবার জন্য একই পরিণতি। তাই একজন মুমিনের দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহে না ডুবে আখিরাতের প্রস্তুতি নেওয়া। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং তার জন্য প্রস্তুতি নেয়।”
(ইবনে মাজাহ)
আজ সময় থাকতে তওবা করা, অন্যায় থেকে ফিরে আসা, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। অসুস্থদের জন্য দোয়া করা, জীবিতদের সম্মান করা এবং মৃত্যুকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করাই ইসলামের শিক্ষা।
একদিন আমরাও হবো খবরের শিরোনাম—কিন্তু সেদিন আর কিছু বলার থাকবে না। তাই প্রশ্ন একটাই—
সেদিন আমার আমল কী বলবে?
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মৃত্যুর আগে সতর্ক হওয়ার তাওফিক দিন, ঈমানের সঙ্গে জীবন শেষ করার সৌভাগ্য দান করুন।
আমিন।