সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদিবাসী পল্লীতে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এক নারীকে একই সম্প্রদায়ের এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় ইউপি সদস্যের আত্বীয় হওয়ায় বিচারের আশ্বাসে এ ঘটনার পর সে মামলা করতে দেয়নি। তবে ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কোন শালিসও হয়নি। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী দরিদ্র পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন।
অভিযুক্ত সঞ্জিত কুমার উরাও (২২) তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লী কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের অজিত কুমার উরাওয়ের ছেলে। ভুক্তভোগী অবিবাহিত প্রতিবন্ধি নারী শৈবা বালা (৩৩) একই এলাকার মৃত সুনিল চন্দ্র উরাওয়ের মেয়ে।
ধর্ষিতার ছোট ভাই সুশান্ত কুমার উরাও অভিযোগ করে বলেন, দূর্গাপুজার নবমীর রাত (২৩ অক্টোবর) ১০টার দিকে তাঁর প্রতিবন্ধি বোন প্রাকৃতিক কাজের জন্য ঘর থেকে বের হয়। অনেকক্ষন পরও সে ঘরে ফিরে না আসায় খোজাখুজি শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির গোয়াল ঘরে গিয়ে তার বোন ও অভিযুক্ত সঞ্জিতকে আপক্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তিনি সঞ্জিতকে ঝাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে সে ঘটনাস্থলে পায়ের স্যান্ডেল ও গেঞ্জি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
সুশান্ত আরো বলেন, ঘটনা জানার পর সঞ্জিতের আপন চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন চন্দ্র সরকার মানসম্মানের ভয় দেখিয়ে বিষয়টি গ্রাম্যসালিসে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে মামলা না করার নির্দেশ দেন। যে কারনে আজও মামলা করতে পারিনি। কিন্তু ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও ওই ইউপি সদস্য কোন শালিসী বৈঠকের আয়োজন করেননি। তার কাছে বার বার গেলেও শুধু সময়ক্ষেপন করছেন।
কৃষি শ্রমিক সুশান্ত বলেন, আমি গরীব মানুষ, প্রতিবন্ধি বোন, প্রতিবন্ধি বিধবা মা, স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান নিয়ে আমাদের সংসার। সহযোগিতা করার মত কেউ নেই, বোনের এ পরিস্থিতিতে এখন কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভুগছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মাধাইনগর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মিলন চন্দ্র সরকার শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে জানান, অভিযুক্ত সঞ্জিত আমার আপন ভাতিজা, আর ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধি নারী সর্ম্পকে প্রতিবেশী ভাতিজি। ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে হওয়ায় গ্রাম্য শালিসে সমাধা করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষের অসহযোগিতার কারনে তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অভিয্ক্তু সঞ্জিত কুমার উরাওয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।