সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে দন্ডে বিএনপি নেতার হামলায় যুবলীগ নেতা আহত ও প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া বাজারে গত (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উধুনিয়া বাজারে দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয় তার জের ধরে সন্ধা ৬ টার দিকে বিএনপি নেতা সিদ্দিক তার দলবল নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার রড,বাঁশের লাঠি,রাম দা, হাসুয়া,দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে উধুনিয়া ইউনিয়ন যুব লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম তোতার উপর হামলা চালিয়ে তাকে দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
তার মাথায় এখন ৭ টা সেলাই ও হাতে এলোপাতারি কুপিয়ে আঙ্গুল কেটে দিলে তার হাতে এখন ১১ টা সেলাই দিয়েছে এবং
ব্যাবসায়ীর সাথে থাকা ২৫ হাজার টাকা কেরে নেয় ও তার গার্মেন্টেস এর দোকানের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয় বিএনপি নেতা সিদ্দিকের লোকজন,
এদিকে অবস্থার অবনতি হলে যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম তোতাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবিষয়ে আহত যুবলীগ নেতার চাচাতো ভাই মোঃ শামিম রেজা (বাবু) উল্লাপাড়া মডেল থানায় ১১ জনের নামে মামলাসহ আরো ৫/৬ জনের নামে অজ্ঞাত নামা মামলা দায়ের করেছে আসামীরা হলো ১ মোঃ সিদ্দিক আলী (৫০) পিতা- নুর জামান ২ মোঃ আলম (৩৫) পিতা- শাহাজাহান আলী ৩ মোঃ সেরাজুল ইসলাম (৩৫) পিতা-মোঃ কুদ্দুস ৪ মোঃ বাবর আলী (৩৪) পিতা- আজিজ হোসেন ৫ মোঃ ইয়াসিন আলী (৩৮) পিতা- মৃত নুর জামান ৬ মোঃ সফি (৩৬) পিতা- মৃত নুর জামান ৭ মোঃ ইয়াছিন (৩৮) পিতা- নুর জামান ৮ মোঃ ইনু (৪৮) পিতা- নুর জামান ৯ মোঃ সেরাজুল ইসলাম (৩৪) পিতা- আজিজ ১০ মোঃ আমিরুল ইসলাম (২৩) পিতা- মোঃ ইদ্রিস আলী ১১ মোঃ জাকিরুল ইসলাম (২১) পিতা মোঃ সেরাজুল ইসলামসহ আরো ৫/৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে উভয়ের গ্রাম উধুনিয়া
স্থানীয়রা বলেন, সামান্য মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে এমন দন্ডের মানে হয় না এদের দলীয় সূত্রে এই মারামারি হয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধ ছিলো তাদের তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলাকারী বিএনপি নেতা সিদ্দিক উধুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সে উধুনিয়া গ্রামের নুর জামালের ছেলে
হামলার শিখার উধুনিয়া ইউনিয়ন যুব লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম তোতা।
সে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংখারুয়া গ্রামের আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে
এবিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (নজরুল ইসলাম) বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।