সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাবনায় মাছভর্তি গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যাক্তি নি*হ*ত, আ*হ*ত ১ জন  বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ সুলতানপুর স: প্রা: বি: ভর্তি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার অভিযোগ  পাকুন্দিয়ায় তিন দিনব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন সেরা সংগঠন সম্মাননা পেল বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ পরিষদ (বিএসএসকেপি) চাটমোহরে মাদ্রাসার সুপারকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন নাগরপুরে ট্রান্সফরমারের সরঞ্জামসহ দুই চোর গ্রেফতার ভূঞাপুরে রাতের আধারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

সাতক্ষীরায় উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তাকে হয়রানির অভিযোগ

এম ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয় এর মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অ:দা:) ডাক্তার কানিজ ফাতেমাকে মিথ্যা হয়রানী করে চলেছে ঐ দপ্তরের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তথ্য অনুসন্ধানে জানা  গেছে,ডাক্তার কানিজ ফাতিমা ২০১৬ সালের ১৫ই ডিসেম্বর কলারোয়া উপজেলা হাসপাতালে যোগদান করে। তিনি যোগদানের পর সেখানকার সকল অনিয়ম দূর্নীতি দূর করে প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা সেবা সহ সকল কাজের মান ফিরিয়ে আনেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি শূন্য হওয়ায় উপ-পরিচালক সাতক্ষীরা তাকে ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল অতিরিক্ত  দায়িত্ব হিসাবে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ে তদারকি শুরু করেন। তখন  ঐ দপ্তরের কয়েকজন দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ডাক্তার কানিজ ফাতেমার উপর ক্ষুব্ধ হতে শুরু করে।আর সে কারনে ২০২২ সালে ২১ শে জুন সহকারী উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা পিযুষ কুমার ঘোষ ডাক্তার কানিজ ফাতিমার সাথে রুঢ় আচারণ করে। তিনি এর জবাব চেয়ে ঐ বছর ২৩ শে জুন লিখিত অভিযোগ করেন। যে অভিযোগটি ২০২২/২১৬ নং স্মারকে উপ-পরিচালক সাতক্ষীরার নিকট পত্র প্রদান করেন। এবং পিযুষ কুমার ঘোষ তার অপর আস্থাভাজন ঐ অফিসের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জেসমিন সুলতানা গত ২০২৩ সালের ৮ই মে থেকে ৭ই জুন পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতায় মেডিকেল ছুটির আবেদন করে ছুটি ভোগ করে। ছুটি শেষে ডাক্তার কানিজ ফাতেমা রোগের  ব্যাবস্থাপত্র দেখতে চাইলে জেসমিন সুলতানা মিতালী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে ডাক্তার কামরুল ইসলামের একটি ব্যবস্থাপত্র ও প্রত্যয়ণ পত্র দাখিল করে। এটাকে কইফিয়ত চাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে ডাক্তার কানিজ ফাতেমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে জেসমিন। সে অফিসের আরো কয়েকজন  দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে একত্রিত হয়ে সরকারী সকল সেবামূলক কাজে বাধা প্রদান করতে থাকে। এছাড়া সে অনলাইনে রিপোর্ট দেওয়ার নাম করে প্রতিটি পরিবার কল্যান পরিদর্শিকার কাছ থেকে ১শ টাকা গ্রহণ করত। ২০১৭ সালে সেই সকল প্রদর্শিকারা প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার অসিত কুমার স্বর্ণকারকে জানান। জেসমিন সুলতানার কাছে গত ২০২৩ সালের ২৬ শে জুন বার্ষিক পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরীর কথা বললে  সে পারবোনা বলে জানায় এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এ ঘটনায়  গত ৫ই জুলাই উপ-পরিচালক সাতক্ষীরা বরাবর একটি পত্র প্রদান করেন। এই জেসমিন সুলতানা তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে রূঢ় আচরণ ও অফিসের কর্মের প্রতি অনিহার মাত্রা দিন দিন বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অফিসের সকল পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা, পরিদর্শক ও সহকারীদের সাথে অসদাচারণ করতে থাকে। তখন ঐ অফিসের ৪৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গণ স্বাক্ষর করে উপজেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে গত ২২ শে জুলাই উপ-পরিচালক সাতক্ষীরা বরাবর অভিযোগ করেন। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক গাজী বশির আহমেদ ও একজন মেডিকেল অফিসার সহ ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে গত ১৬ই আগষ্ট সকাল ১০টায় কলারোয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে তদন্ত করেন। সে তদন্ত রিপোর্টটি কর্তৃপক্ষ  এখনও প্রকাশ করেননি। ঐ চক্রটি ডাক্তার কানিজ ফাতেমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার জন্য অফিসের সকল কর্ম পরিকল্পনা থেকে দায়সারা ভাবে কাজ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অপদস্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।  জেসমিন সুলতানা একা পেরে না পেরে ওঠায় সঙ্গে তার স্বামী ঐ অফিসের প্রাক্তন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মোঃ মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নেন। তিনি ২০০৯ সালে ঐ অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে সোনালী ব্যাংক কলারোয়া শাখার সিনিয়র অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। ঐ মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী জেসমিন সুলতানা একত্রিত হয়ে ডাক্তার কানিজ ফাতেমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন হয়রানী ও সামাজিক হেনস্তা করতে থাকে ও তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে নাক গলিয়ে সাংসারিক জীবনে অশান্তি ঘটায়। ডাক্তার কানিজ ফাতেমা কোন উপায় না পেয়ে গত ২৪ শে জুলাই ২০২৩/১১৫/১(৩) নং স্মারকে সোনালী ব্যাংক পিএলসি  কলারোয়া শাখার মাধ্যমে মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালয় মতিঝিল জেনারেল ম্যানেজার খুলনা ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রিন্সিপাল অফিস সাতক্ষীরা একটি অভিযোগ দায়ের করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরো জানা যায় গত ২৬ শে আগষ্ট রোজ শনিবার সকাল ১১টায় কর্মঘন্টা ফাকি দিয়ে সকল ঋডঅ কে একত্রিত করে বিভিন্ন উষ্কানিমূলক কথা বলে যে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে কানিজ ম্যাডাম কিছু জানেন না এত বড় সাহস আমাকে শোকস করে। আমার ক্ষমতা উনাকে দেখিয়ে দিবো। দুই মাসেও কোন রোগী দেয় না এবং প্রত্যেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে অঙ্গীকার করে। অফিসের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানায় ম্যাডামের যোগদানের পর থেকে দূর্নীতি বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় মহলটি ম্যাডামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হয়রানি করছে। এছাড়া অত্র অফিসের প্রাক্তন কর্মচারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ হুমায়ুন কবির থাকাকালীন এই অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও এ পরিদর্শিকাকে প্রায়ই যৌন হয়রানীমূলক কুপ্রস্তাব দিত। এছাড়া মাঝে মধ্যে অহেতুক কারণ দেখিয়ে অফিসে বাইরে থেকে অপরিচিতি মহিলা এনে রাত্রিযাপন করত এবং মোঃ হুমায়ন কবির অত্র অফিস থেকে বদলী হয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলাতে কর্মরত থেকেও উক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পরিদর্শিকাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় উত্ত্যাক্ত করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা গত ০৬/০৮/২০২৩ ইং তারিখে মেডিকেল অফিসার এম.সি.এইচ.এফ.পি কলারোয়া, সাতক্ষীরার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ইতিপূর্বে ডাক্তার কানিজ ফাতেমা মোঃ হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সে অন্যত্র কর্মস্থলে বদলী হয়ে যায় কিন্তু সেখানেই সে থেমে নেই। নতুন কর্মস্থলে বসেই তার কলারোয়া অফিসের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদের উৎসাহ প্রদান করে উপরোক্ত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী ডাক্তার কানিজ ফাতেমা জানায় উপরোক্ত কুচক্রী মহলের কারণে এই প্রতিষ্ঠানে আমি ঠিকমত অফিসিয়াল কাজ সহ সরকারী সেবা প্রদান করতে পারছিনা। তারা বার বার আমাকে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক ও মানসিক ভাবে হয়রানী করছে। আমি উপরোক্ত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর, জেলা প্রশাসক, ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত জেসমিন সুলতানা এর সাথে কথা বলার জন্য তার কর্মস্থলে গেলে জানা যায় তিনি ছুটিতে আছেন ও অপর অভিযুক্ত মোঃ হুমায়ন কবির এর কাছে মুঠোফোনে বিষয়টির ব্যাপারে জানার চেষ্টা করলে তাকে  পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর