যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন মানুষের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন ভূয়া টেষ্টের নামে রোগীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া তাদের পেশায় পরিণত হয়েছে। এমনি এক অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী এক পরিবার। ভুক্তভোগী উপজেলার কৌটা গ্রামের সাকিব শেখ জানান, আমার ১২ বছর বয়সী ছেলে মাহিদ জ্বরে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে গত ২১আগষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। ডাঃ মাহফুজুর রহমান সবুজ রক্ত টেষ্ট করতে পাঠায় লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে টেষ্ট করে রিপোর্টে দেখা যায় আমার সন্তানের ডেঙ্গু হয়েছে, রক্তের প্লাটিলেট কম। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ আমার ছেলেকে ডেঙ্গু রোগের পাওয়ারফুল এ্যান্টিবায়োটিক ঔষুধ ব্যবহার করে ২১আগষ্ট থেকে ২৪আগষ্ট পযন্ত ৪দিনের টেষ্টে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা রিপোর্ট একই থাকার কারণে ভুল চিকিৎসায় মাহিদ আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে আমি দেরি না করে গত ২৬ আগষ্ট খুলনা পপুলার ক্লিনিকে মাহিদকে ভর্তি করি সেখানে রক্ত টেষ্ট করি। সেখানে দেখা যায় মাহিদের কোন ডেঙ্গু জ্বর হয়নি এবং ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ আমার সাথে রাগারাগি করে জানান, রোগীকে ভুল চিকিৎসা দিয়েতো আপনারা মৃত্যুর পথযাত্রী করে ফেলেছেন, এই রোগীর কোন ডেঙ্গু জ্বর হয়নি বা আগেও ছিলোনা, যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করিয়েছেন সেই রিপোর্ট ভূয়া, ভুল চিকিৎসায় রোগীর এই খারাপ অবস্থা হয়েছ। আমি এসব শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েছি যে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাহলে মানুষ মারার ফাঁদ হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু ডাক্তারদের কারসাজিতে কমিশনের লোভে পড়ে টেষ্ট বাণিজ্যের নামে মানুষের সাথে অমানবিক প্রতারণা করে চলেছে ওই সব চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়ে বোবা কান্না করা ছাড়া মানুষের বিচার দেওয়ার জায়গা থাকেনা। লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এমন কর্মকান্ড অনতিবিলম্বে বন্ধসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে নওয়াপাড়া লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার শাহারিয়ার রাজু মুঠোফোনে জানান, একদিনে রক্তের প্লাটিলেট কম থাকার বদলে বাড়তে পারে, এটা কোন সমস্যা না, যারা অভিযোগ করেছে তারা ভুল অভিযোগ করেছে। রিপোর্টগুলোসহ তাদের নিয়ে আমাদের এখানে আসুন, আমরা ঠিক করে দেখে বুঝিয়ে দেব আমরা কোন ভুল রিপোর্ট করিনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ওহিদুজ্জামান জানান, খুলনা ও লাইফ কেয়ার এর রিপোর্ট না দেখে আমি কিছু মন্তব্য করতে পারবোনা।