মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

উল্লাপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়ররানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তায় আছে অভিভাবকেরা

মোঃ আমিনুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
আপডেট সময়: রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩, ১১:১৬ অপরাহ্ণ

শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, নিপীড়ন এবং ছাত্রীদের কাছে ডেকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। একাধিকবার এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের চর ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয় অঙ্গনে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।

চরভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ৩য় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছাত্রীর অভিভাবক রেজাউল করিম জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। সে একজন চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। শিক্ষক নামের কলংক। শ্রেণীতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ডেকে এই লম্পট শিক্ষক তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আদরের ছলে স্পর্শ করে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। গত বৃহস্পতিবার ক্লাসে ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া আমার নাতনিকে বোর্ডের পড়া দেখানোর ছলে পিছন দিয়ে দুই হাত দিয়ে উঁচু করে বুকের স্পর্শকাতর স্থানে চাপ দেয়। নাতনি ব্যথা পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। বাড়ীতে ফিরে এসে তার দাদীকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও শিক্ষকদের কাছে ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার কঠিন বিচার দাবি করে।

গ্রামের হিরা, বাবু ও শিহাব উদ্দিন জানান, এই ঘটনার পর ওই শিক্ষাকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি করে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। ইতিপূর্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ বার এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। ভুক্তভোগীরা উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁনের নিকট মৌলিক বিচার চাইলেও তারা পায়নি বিচার।

স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুল খালেক ও আয়শা খাতুন জানান, শিক্ষক আব্দুল মালেকের এই ধরনের আচরণের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মেয়ে শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করে থাকেন। আমরা অনেকবার প্রধান শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবহিত করেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল এই প্রতিবেদককে বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে সহকারি শিক্ষক মালেকের বিরুদ্ধে বার বার এই ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন মহোদয়কে ঘটনাটি অবহিত করা হয়েছে। এই শিক্ষককে নিয়ে আমরা চরম বিপদে আছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ছাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষক মালেক গত কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন। পরে বউ তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। তার পর থেকেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর