শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে ৭ নভেম্বর পালিত গোপালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আটোয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত কর্মকর্তা’র নেতৃত্বে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিদর্শন টিম পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ! স্থানীয় প্রার্থী দাবিতে বিএনপির দুই নেতার যৌথ আন্দোলনের ঘোষণা জারিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রথম সফল নরমাল ডেলিভারি: মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ ঝাওয়াইল দাখিল মাদরাসা পরিদর্শনে সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম নাগরপুরে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত গোপালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবনে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

তাড়াশে লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত শত শত গবাদীপশু: গাফিলতি প্রাণিসম্পদ বিভাগের

তাড়াশ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩, ৭:৪১ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে শত শতগবাদী পশু আক্রান্ত হয়ে নি:শ্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র খামারী ও গ্রামের কৃষক। দ্রুত গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি। সুচিকিৎসা নামেলায় ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছে গরু। গত এক মাসে উপজেলার অন্ততকয়েক শতাধিক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দিন দিন পাল্লা দিয়েবাড়ছে এই সংখ্যা। গরু প্রতি চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে ৪ থেকে ৫হাজার   টাকা।   তারপরও   সুস্থ   করা   যাচ্ছেনা   আক্রান্ত   গরুকে।   ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরু খামারি ও সাধারন কৃষক।
 ইতিমধ্যে বেশকিছু গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তাড়াশ  উপজেলার তালম  ইউনিয়নের শাহীপাড়া  এলাকার বাসিন্দা আলমাহমুদ   জানান,   তার   শাহিওয়াল   জাতের   বাছুর   লাম্পি   স্কিন   রোগেআক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একই গ্রামের কোবাদ ও লাবু মিয়ার দেশীজাতের গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েও মারা গেছে।
তারা   জানান,   গাভী   লাম্পিস্কিনে   আক্রান্ত   হলে   প্রথমে   স্থানীয়   পশুচিকিৎসকের   মাধ্যমে   চিকিৎসা   করাই।   কিন্তু   কাজ   না   হওয়ায়   পরেউপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যাই। সেখানে তাদের কোন সাড়া মিলেনাই। শুধু   আল   মাহমুদ   কোবাদ   ও   লাবু   মিয়া   নয়   তাড়াশ   উপজেলায়লাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু হারিয়েছেন অনেকেই।
বর্তমানে উপজেলাতে অন্তত এক হাজারেরও বেশি গরু এই রোগে আক্রান্ত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মারা গেছে অন্তত ১০ টি গরু। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের গরুর সংখ্যা। শুরুতে সারা শরীরে বসন্তের মতো গুটিগুটি উঠছে। তারপর পায়ের হাটু গোড়ালি ও গলা ফুলে যাচ্ছে। গলায় জমছে   পানি।   জ্বর   ও   প্রচন্ড   ব্যথায়   খাওয়া   দাওয়া   ছেড়ে   দেয়   আক্রান্ত গরুগুলো। অনেক সময় মুখ দিয়ে লালা পড়ে। কেউ কেউ আক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে মশারি দিয়ে আলাদা করে রাখছেন। কিন্তু তারপরও সংক্রমণঠেকানো যাচ্ছে না।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন,লাম্পিস্কিন ভাইরাস জনিত রোগ। এটি মশা মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। লাম্পিস্কিন   রোগের  সুনির্দিষ্ট  চিকিৎসা  না  থাকলেও  রোগের  ধরণঅনুযায়ী  চিকিৎসা  দেয়া   হয়ে  থাকে।   আতঙ্কিত  না  হয়ে   পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা ও মশা মাছি থেকে গরুকে নিরাপদ রাখতে হবে। কতগুলোগরু আক্রান্ত তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। ইতিমধ্যেই   আমরা   জনসাধারণ   কে   সচেতন   করতে   উঠান   বৈঠক, ভ্যাকসিনেসন, আক্রান্ত   গবাদী   পশুকে   মশারীর   মধ্যে   রাখা   ইত্যাদিপরামর্শ  ইত্যাদি পরামর্শ  দিচ্ছি। আমাদের অফিসের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর