সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে ও দোষি ব্যক্তিকে শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে ও দোষি ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাচুড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের ২ শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক অংশ নেন। এসময় উত্ত্যক্তকারী পাচুড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম লফিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানো হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন,ডিবিগ্রাম ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মতিন বিশ্বাস,সাবেক মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন,আব্দুস ছালাম,যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম,উজ্জল হোসেন,আব্দুল রউফ,চঞ্চল প্রমূখ।

বক্তারা বলেন,রফিকুল ইসলাম লফিন বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এ ব্যাপারে তাকে বারবার স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিরত থাকার কথা বললে,সে কোন কথাই শোনেনা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছেন।

কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বক্তারা অবিলম্বে রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ছাত্রীরা আমার কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানালে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ইউএনও মাধ্যমিক শিক্ষা অীফসারকেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। একারণে আজকে অভিভাবকও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে দোষি ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে। আমি অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি চাই। না হলে অভিভাবকরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাবেনা।

অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম লফিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। প্রধান শিক্ষককের দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণে আমি দোষি হলে যে কোন সাজা মেনে নেবো।

সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম বলেন,আমাদের তো আইন অনুযায়ী কাজ করতে হয়। প্রধান শিক্ষক যে অভিযোগ দিয়েছেন,তাতে ঘটনার সময়,স্থান উল্লেখ নেই। আমি প্রধান শিক্ষককে অভিযোগটি সংশোধন করে দিতে বলেছি। তিনি আসেন নাই। অভিযোগটি সংশোধন করে দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা নিতে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তো কোন সমস্যা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর