কক্সবাজার রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গোলালির জুম, স্বপ্নতরীর পার্কের পূর্বপাশে মাদকী ও মামলাবাজ সৈয়দ হোসানের স্ত্রী খুরশিদা আক্তার এর রমরমা মাদক ব্যবসা আসর গড়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে খুচরা ও পাইকারীর মাদক কারখানা গড়ে তুলেছে এই মহিলা। খুরশিদা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদক নির্বিকারে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রামু উপজেলার একটি সৌন্দর্যের রূপ নগরী পর্যটক স্পট স্বপ্নতরী। এই পর্যটক স্পটে প্রতিদিন হাজার হাজার স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ পরিবার-পরিজন নিয়ে এই স্বপ্নতরীতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। এই স্বপ্নতরীর পাশে গড়ে তুলেছে খুচরা পাইকার মাদকের কারখানা ও আসর,এই মাদক কারখানা থেকে মদ ও ইয়াবা পান করে মাতাল হয়ে স্বপ্নতরীতে বেড়াতে আসা মা-বোনদের ডিস্টার্ব করে থাকে এবং অতীতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে।
রশিদ নগরের আওতাধীন হাট বাজার, গ্রাম-গঞ্জ থেকে এসে সংগ্রহ করে তাকে ইয়াবা, ছোলাই মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদক । মাদকের পাওয়ার সহজ লভ্য হওয়ায় যুব সমাজসহ বিভিন্ন বয়সীরা অধিক হারে নেশাগ্রস্থ হয়ে তাদের অজান্তেই ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে বলে অত্র এলাকার সচেতন মহলের অভিমত।
রশিদনগরের কতিপয় চিহ্নিত কিছু মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে রাখে।
সরজমিনে,রশিদনগরের গোলালিরজোন এলাকার একজন মহিলা জানাই, মাদক বিক্রিতা খুশিদা আক্তারের স্বামী সৈয়দ হোসন একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তিনি খুশিদাকে বিয়ে করে বাংলাদেশি বনে যান। তার বাসায় মাদকের আসর গড়ে তুলছে বিদায় এলাকার যুব সমাজ দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে হাত বাড়ালে মাদক পাওয়া গেলে আগামী নতুন প্রজন্ম ধ্বংসের মতে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি জানাই, খুশিদার দুইটি বাড়ি রয়েছে এক বাড়িতে মাদক জমা রাখা হয় এবং অন্য বাড়িতে মাদকের আসর। রোহিঙ্গা ছৈয়দ হোসন একজন অতি মাদক আসক্ত ব্যক্তি। ২৪ ঘন্টা তিনি ওই মাদকের আসরে বসে নিজেই পান করে এবং মাদক কিনতে আসা অতিথিদের বিক্রয় করতে স্ত্রী খুশিদাকে সহযোগিতা করে থাকে। ইতিপূর্বে সৈয়দ হোসেনের দুটি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানাই। মাদকসহ দুই দুইবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান কারাগার থেকে মুক্তি হয়ে পুনরায় এই লাভজনক মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মাদক কারবারিদের সুবিধাজনক স্থান। বিগত পাঁচ ছয় বছর ধরে নির্ভয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের এত চাপাচাপিতে কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীর এই প্রশ্ন।
আরো জানতে, রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খুশিদা আক্তারের মাদক আসরের কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি পূর্বে কয়েকবার প্রশাসন নিয়ে মাদকের আসর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলাম। তারপরও পুনরায় এই অবৈধ ব্যবসা শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে আমার রশিদ নগর ইউনিয়নে গোলালিরজোন এলাকা একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত এলাকা। এখানে একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী টিম রয়েছে। আমি শত চেষ্টা করার পরও কোনভাবে এসব মাদকের আসর উচ্ছেদ করতে পারছিনা।
সংবাদ সংগ্রহকারী প্রতিনিধি দল মাদক ক্রয় কারী রূপ নিয়ে ঐ খুশিদা আক্তার তথা সৈয়দ হোসেনের বাড়িতে গেলে তারা সংবাদ কর্মীকে চিনতে না পেরে তারা নির্ভয়ের মদ ও ইয়াবা মাদক দিয়ে থাকে। মাদক দেয়ার গোপন ভিডিও চিত্র সংরক্ষিত আছে।
রামু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেনের এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং অনেক মাদক বিক্রেতা ও সেবন কারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসীদের প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন দ্রুত গতিতে এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে না হলে ভবিষ্যতে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে পাশাপাশি স্বপ্নতরী পার্ক মাদকে রাজ্য পরিণত হবে।