আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-
শিশু সন্তান হোসাইন আহম্মেদ। বয়স সাড়ে ৩ বছর। প্রায় ৩ মাস আগে পেটে ধরা পড়ে বিশালাকৃতির টিউমার। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। অবুঝ এই শিশুকে বাঁচাতে দেশের দানশীল-প্রতিষ্ঠানের কাছে আকুতি জানিয়েছে তার বাবা-মা। হোসানই আহম্মেদের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া গ্রামে। শিশুর পিতা আল-আমিন মিয়া পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। মাতা ফাতেমা বেগম একজন গৃহীনি। তাদের বসতভিটা ছাড়া অন্য কোন সহায় সম্বল নেই। দৈন্যদিন রোজগারে সংসার চলে আল-আমিনের। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে পেটে ভাত জোটেনা। এরই মধ্যে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে হোসাইন আহম্মেদ।
তিন মাস আগে পেটে টিউমার ধরা পড়ার রংপুরসহ বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার উন্নতি হয়নি। দিনদিনে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে হোসাইন আহম্মেদ। ইতোমধ্যে সন্তানের চিকিৎসা করতে পথে বসেছে পরিবারটি। বর্তমানে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাশেদের তত্বাবধায়নে রয়েছে। চিকিসকরা জানিয়েছেন হোসাইনকে অপারেশন করতে হবে। এতে করে লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার খরচ জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে পিতা আল-আমিন মিয়া বলেন, এর আগে সন্তানকে সুস্থ করতে গরু-ছাগল বিক্রি ও স্থানীয় দাদনের টাকা নিয়ে চিকিৎসা করে নিস্ব হয়েছি। এমতাবস্থা চিকিৎসার টাকার জোগার করা মোটেও সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিশু সন্তান হোসাইনকে বাঁচাতে দেশের দানশীল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট সাহায্যের আবেদন করছেন। সাহায্য পাঠাতে বিকাশ নং ০১৭৩৭৬৫৬০২৪।